Nandakumar's MLA threatened in the government meeting

মণ্ডপে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি না রাখলে বন্ধ হবে অনুদান, সরকারি সভাতেই হুমকি দিলেন নন্দকুমারের বিধায়ক

বিধায়ক বলেন, “এই ব্লকের ৬৬টি পুজো কমিটি সরকারি অনুদান পায়। সকলের অনুমোদন আমার জন্য। কিন্তু আমার নাম কেউ আমন্ত্রণ পত্রে রাখে না। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে টাকা নিচ্ছে তাঁর ছবিও প্যান্ডেলে রাখে না।“ তিনি জানিয়েছেন, এ বার সমস্ত প্যান্ডেল ঘুরে দেখবেন। কারা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রাখেনি তা খতিয়ে দেখবেন। যাঁরা রাখবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুদান তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হবে।

প্রতীকী চিত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা, তমলুক
  • শেষ আপডেট:২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:৪৭

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি মণ্ডপে না রাখলে টাকা পাবে না কোনও পুজো কমিটি। সরকারি অফিসারদের মঞ্চে বসিয়ে রেখে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দের বিরুদ্ধে। নন্দকুমার থানার ব্যবস্থাপনায় পুজো কমিটিগুলোকে অনুদান দেওয়ার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাকক্ষে। সেখানেই বক্তব্য রাখতে উঠে রীতিমতো হুমকি দেন সুকুমারবাবু। তাঁর কথা, “টাকা যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিচ্ছেন তখন তাঁর ছবিও রাখতে হবে, না হলে আমি ব্যবস্থা নেব। সমস্ত পুজোর প্যান্ডেলে আমাকে আমন্ত্রণ করতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক।“

বিধায়কের হুমকি দেওয়ার সময়ে মঞ্চে বসেছিলেন নন্দকুমারের বিডিও দীনেশ দে, তমলুক মহকুমা পুলিশ আধিকারিক আফজল আবরার, স্থানীয় থানার ওসি অমিত দেব এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শিবানী দে কুণ্ডু। বিধায়কের কথা শুনে তাঁরা কোনও প্রতিবাদ করেননি। তবে গোটা ব্লক জুড়েই ঘটনার প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন বিধায়কের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

এ দিন বিধায়ক বলেন, “এই ব্লকের ৬৬টি পুজো কমিটি সরকারি অনুদান পায়। সকলের অনুমোদন আমার জন্য। কিন্তু আমার নাম কেউ আমন্ত্রণ পত্রে রাখে না। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে টাকা নিচ্ছে তাঁর ছবিও প্যান্ডেলে রাখে না।“ তিনি জানিয়েছেন, এ বার সমস্ত প্যান্ডেল ঘুরে দেখবেন। কারা মুখ্যমন্ত্রীর ছবি রাখেনি তা খতিয়ে দেখবেন। যাঁরা রাখবেন না তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনুদান তালিকা থেকে নাম কেটে দেওয়া হবে। 

বিধায়কের দাবি, সরকারি অনুদানের টাকা পাওয়ার পরে আমন্ত্রণ পত্রে ওসি, বিডিওদের নাম নেই। যদি নাম না থাকে তবে কীভাবে সরকারি অনুদানের টাকা আগামী বছর থেকে বন্ধ করতে হবে তা তিনি জানেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। তবে বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের কোনও কর্তাই কিছু বলেননি। তবে বিধায়কের কথায় গোটা ব্লক জুড়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পুজো কমিটিগুলির একটি অংশের বক্তব্য, এটা জনগণের করের টাকা। কারও ব্যক্তিগত টাকা নয়। পুজোর প্যান্ডেলে এ ভাবে কারও ছবি রাখা যায় না। তাঁরা গোটা বিষয়টি নিয়ে আদালতে যাওয়ার কথাও ভাবছেন বলে জানিয়েছেন।

গোটা ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ওই বিধায়কের বক্তব্যের ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। শুভেন্দু বলেন, “আগামী বছরের বিষয় আগামী বছরই দেখা যাবে। আপনার দলের সরকার আর ক্ষমতায় আসবে না। আগামী বছর আপনিও প্রাক্তন হয়ে যাবেন। আপনার মালিকও প্রাক্তন হবেন। তাই ক্ষমতার দম্ভে হুমকি-আস্ফালন দেখানোর আগে ভাল করে ভেবেচিন্তে কথা বলুন।“


Share