Suicide Of A Law Student

কাকদ্বীপে আইনজীবীর চেম্বার থেকে উদ্ধার আইনের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, পলাতক অভিযুক্ত আইনজীবী

দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে আইনজীবীর চেম্বার থেকে উদ্ধার হল আইনের ছাত্রী সোনিয়া হালদারের ঝুলন্ত দেহ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আইনজীবী শেখ মানোয়ার আলমের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জটিলতাই মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনায় পলাতক অভিযুক্ত আইনজীবীকে খুঁজছে পুলিশ।

প্রতীকী চিত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ
  • শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ০৬:৩৮

আইনজীবীর চেম্বার থেকে আইনের ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কাকদ্বীপ থানার প্রতাপাদিত্য গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

জানা গিয়েছে মৃতের নাম সোনিয়া হালদার। তাঁর বাড়ি কাকদ্বীপের গান্ধীনগর এলাকায়। মৃত্যুর কারন কী, তা নিয়ে তদন্ত করছে পুলিশ। তবে পরিবার জানিয়েছেন, সোনিয়া পড়াশুনার ফাঁকে প্রতিদিনই আইনজীবীর চেম্বারে যেতেন। প্রতিদিনের মত বুধবার সকালেও বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সোনিয়া। সন্ধ্যায় পরিবার জানতে পারেন আইনজীবীর চেম্বার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তরুণীর দেহ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। খবর পাওয়া মাত্রই পরিবারের সদস্যেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। খবর দেওয়া হয় কাকদ্বীপ থানার পুলিশকেও। 

তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তরুণীর দেহ পাঠানো হয় ময়না তদন্তের জন্য। তার রিপোর্ট এলেই কারন বোঝা যাবে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে, যার মধ্যে থেকে পাওয়া গেছে একটি চিঠি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, আইনজীবীর সাথে এক ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের অভিযোগ সম্পর্কের জটিলতা ও টানাপোড়েন তরুণীকে এই চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে।পরিবারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই আইনজীবী শেখ মানোয়ার আলমের নামে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে কাকদ্বীপ থানায়।

জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকেই সন্দেহভাজন অভিযুক্ত আইনজীবী পলাতক। তাঁকে খুঁজছে পুলিশ।পুলিশ জানিয়েছে ময়না তদন্তের পরই এই ঘটনার কারণ স্পষ্ট হবে।


Share