Special Intensive Revision

এসআইআর-এর কাজের চাপ! হুগলিতে অসুস্থ বিএলও, নিয়মিত ওষুধ খেতেন না, জানালেন চিকিৎসক

অসুস্থ বিএলও-র নাম তপতী বিশ্বাস। বয়স ৬০-এর কাছাকাছি। তিনি কোন্নগর পুরসভার নবগ্রামের বাসিন্দা। পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী তপতী উত্তরপাড়া বিধানসভার ২৭৯ নম্বর বুথের বিএলও হিসেবে কাজ করছেন। বুধবার পৌনে ১১টা নাগাদ এসআইআরের ফর্ম বিলি করতে গিয়ে ঘটনাটি ঘটে।

এসআইআর-এর চাপে অসুস্থ কোন্নগরের বিএলও।

নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তরপাড়া

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২৫ ০১:১৫

আরও এক বিএলও অসুস্থ হওয়ার খবর সামনে এসেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, হুগলির উত্তরপাড়া বিধানসভার কোন্নগর পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ঘটনাটি ঘটেছে। পরিবারের দাবি, এসআইআর-এর কাজের চাপে এমন ঘটনা ঘটেছে। যদিও প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই প্রৌঢ়ার আগে থেকেই কিছু রোগ ছিল। তা নিরাময়ের জন‍্য নিয়মিত ওষুধ খেতেন না।

অসুস্থ বিএলও-র নাম তপতী বিশ্বাস। বয়স ৬০-এর কাছাকাছি। তিনি কোন্নগর পুরসভার নবগ্রামের বাসিন্দা। পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী তপতী উত্তরপাড়া বিধানসভার ২৭৯ নম্বর বুথের বিএলও হিসেবে কাজ করছেন। পরিবার সূত্রের খবর, বুধবার পৌনে ১১টা নাগাদ এসআইআরের ফর্ম বিলি করতে গিয়েছিলেন তপতী বিশ্বাস। সেখানেই তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান। দেরি না করে তড়িঘড়ি তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা জানান তার ‘সেলিব্রাল অ্যাটাক’ হয়েছে। আপাতত তিনি কোন্নগর পুরসভা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

তার স্বামী প্রবীর বিশ্বাসের অভিযোগ, সম্প্রতি এসআইআর-এর ফর্ম বিলি করা, তা ফেরত নেওয়া, কিউআর কোড স্ক্যান করে তা অনলাইনে আপলোড করা- এসব করতে গিয়ে নাজেহাল হয়ে গিয়েছিলেন তপতী। এমনকি কাজের চাপে প্রায় দিন রাতে ঘুমও হচ্ছিল না। ঘন ঘন ফোন আসছে। জানা গিয়েছে, ওই বুথে এক হাজার ১৬ জনের এনুমারেশন ফর্ম বিলি করা হয়ে গিয়েছে। এখনও প্রায় ৪৫ জনকে ফর্ম দেওয়া বাকি রয়েছে। তা নিয়েই জন্য দিনরাত চিন্তায় ছিলেন তপতী, এমনই দাবি করেছে পরিবার।

পর্যবেক্ষণ করার পরে কোন্নগরের মাতৃসদন হাসপাতালে চিকিৎসক সঞ্জয় সুদ-র বক্তব্য, মানসিক চাপের জন্য এরম হয়না। তপতী বিশ্বাসের সুগার রয়েছে। এর সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপও রয়েছে। তাঁর মতে, এর জন‍্য নিয়মিত চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। নিয়মিত ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হয়। কিন্তু তা তিনি করতেন না। সেই কারণেই সেরিব্রাল হয়েছে। চিকিৎসক সঞ্জয় বলেন, "ওঁর অতিরিক্ত সুগার এবং উচ্চ রক্তচাপের কারণে সেরিব্রাল স্ট্রোক হয়েছে। আমরা সিটি স্ক্যান করে দেখেছি। তবে ওঁর জ্ঞান আছে। এখন পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।”

যদিও ঘটনায় মাঠে নেমে পড়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। এই বিষয়ে কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপনকুমার দাস বলেন, “নির্বাচন কমিশন না জেনেই বিএলও-দের ওপর অতিরিক্ত চাপ দিয়ে দিয়েছে। তপতী বিশ্বাস অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে কেউ খোঁজটুকুও নিতে আসেননি। এসআইআর-এর কাজে অতিরিক্ত চাপের ফলেই তিনি আক্রান্ত হয়েছেন।”

SIR