Siliguri Demolition Clash

শিলিগুড়িতে অবৈধ নির্মাণ ভাঙাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা, অভিযানে বাধা দিলেন তৃণমূল কাউন্সিলর দিলীপ বর্মন

শিলিগুড়ির ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডে অবৈধ নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে উত্তেজনা। পৌর অভিযানে তৃণমূল কাউন্সিলর দিলীপ বর্মনের তীব্র প্রতিবাদ। পুলিশ মোতায়েনের মাঝেও ভাঙচুর অভিযান চলেছে।

শিলিগুড়ি পুরসভার কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ
নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি
  • শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০২৫ ০৫:৫৮

শিলিগুড়ি পুরসভার উদ্যোগে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গত এক বছর ধরে অবৈধ নির্মাণের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক ভাঙচুর অভিযান চলছে। মঙ্গলবার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের চম্পাশাড়িতে সেই অভিযানে তৈরি হলো চরম উত্তেজনার পরিবেশ। অবৈধভাবে ফুটপাত ও ড্রেন দখল করে গড়ে ওঠা বাড়ি ও দোকান ভাঙতে গেলে বাধার মুখে পড়েন পুরসভার কর্মীরা।

অভিযান স্থলে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নগর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী, সাদা পোশাকের পুলিশ সহ লাঠিধারী বাহিনী। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতিতেই পৌরনিগমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূল কাউন্সিলর তথা এমআইসি দিলীপ বর্মন। তিনি স্পষ্ট জানান, ভাঙছে ভাঙুক, কিন্তু এইভাবে ভাঙলে এর পরিণাম শিলিগুড়ির মানুষই দেবেন।

দিলীপ বর্মন অভিযোগ করেন, মেয়র গৌতম দেব এবং ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার শিলিগুড়িকে বিক্রি করতে নেমেছেন। যতদিন এদের সরানো না হবে, ততদিন এমন ঘটনাই ঘটবে। তিনি দাবি করেন, সাধারণ মানুষের বাড়ি ভেঙে  পুরসভার অযথা আতঙ্ক তৈরি করছে। পার্টির তরফে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে কিনা—সেই প্রশ্নেরও জবার দিয়েছে দিলীপ বর্মন। এছাড়া তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশকে ব্যবহার করে তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। 

মানুষ প্রতিবাদ করতে না পারার জন্য পুলিশি ‘কেস’-এর ভয়কেও দায়ী করেন দিলীপ বর্মন। এ নিয়ে তিনি সতর্কবার্তা দেন। শেষে মেয়র ও ডেপুটি মেয়রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি আরও জানান, মানুষ নিজের পেটে লাথি খেলে অনেক কিছু করতে পারে। তারা কারও দৌলতে চলে না—খেটে খায়। ২৬ ও ২৭-এ মানুষই চাবুক ঘোরাবে।

 পুরসভার পক্ষ থেকে অবশ্য এদিন নির্ধারিত মতোই অবৈধ নির্মাণ ভাঙার কাজ চালানো হয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকলেও বড় কোনো অঘটন ঘটেনি।


Share