Arrival of migratory birds

ইউরোপ–মঙ্গোলিয়া পেরিয়ে অতিথিদের আগমন, পাখির স্বর্গরাজ্য জলপাইগুড়ি

জলপাইগুড়ির জলাশয়ে আগেভাগেই নেমেছে শীতের অতিথি পরিযায়ী পাখি। গ্রামবাসীদের সচেতন পাহারায় নিরাপদ পরিবেশে চখাচখি, নর্দান টিল-সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখিতে মুখর এলাকা।

পরিযায়ী পাখি
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি
  • শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৫ ০৪:৪৪

জলপাইগুড়ির জলাশয়ে এখন রীতিমতো উৎসবের আমেজ। শীতের আগেই দূর দেশের অতিথিদের ডানা মেলায় মুখর এলাকা। নভেম্বর পড়তেই জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জলাশয়ের আকাশ ভরে উঠেছে ইউরোপ, ইউরেশিয়া ও মঙ্গোলিয়া থেকে হাজার হাজার কিলোমিটার উড়ে আসা পরিযায়ী পাখিদের দলে দলে আগমনে।

প্রতিবছর শীত নামার সঙ্গে সঙ্গে পরিযায়ী পাখির আনাগোনা বাড়ে। তবে এ বছর সেই উপস্থিতি আরও আগেভাগে। চখাচখি, নর্দান টিল, নর্দার্ন ল্যাপ উইং, হ্যান হেরিয়ার, কমন মুরগন ও বালিহাঁস—এমনই একাধিক প্রজাতির পাখির দেখা মিলছে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ জলাজমিতে।

বহু বছর ধরেই এলাকার জলাশয় এবং আশেপাশের সবুজ গাছপালাই এই পাখিদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে পরিচিত। গ্রামবাসীদের স্নেহ, মমত্ব আর সক্রিয় পাহারায় এলাকা হয়ে উঠেছে পাখিদের জন্য স্বর্গরাজ্য। শিশু থেকে প্রবীণ—সকলেই দলে দলে ছুটে যাচ্ছেন এই মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য। শুধু দর্শকই নন, পাখিদের রক্ষক হিসেবেও উঠে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

গ্রামবাসীদের একাংশ জানান, আগের মতো শিকারির আনাগোনা আর দেখা যায় না। তাঁদেরই পর্যবেক্ষণে পাখিদের নিরাপত্তা বেড়েছে বহু গুণ। ফলে এলাকাটি এখন নতুন পরিচিতি পেয়েছে পরিযায়ী পাখির ঠিকানা হিসেবে।

পরিবেশকর্মীরাও গ্রামবাসীদের এই সচেতনতা ও উদ্যোগে সন্তুষ্ট। জলপাইগুড়ি সায়েন্স অ্যান্ড নেচার ক্লাবের সম্পাদক ডঃ রাজা রাউত জানান, প্রতিবছর নিয়মিতভাবেই চখাচখি, রুডিশেল ডাক, নর্দান টিল, কমন টিল-সহ আরও বহু প্রজাতির পাখি আসে এখানে। সব মিলিয়ে জলপাইগুড়িতে এখন পরিযায়ী পাখির আগমনে মন ভাল করা পরিবেশ।


Share