শনিবার নেটে বল করতে দেখা গেল জসপ্রীত বুমরাহকে, যদিও শুক্রবার অনুশীলনে উপস্থিত হলেও তিনি বল করেননি। এ দিন অনুশীলনে আসেননি শুভমন গিল, কেএল রাহুল-সহ আরও কয়েকজন ব্যাটার। অন্য দিকে, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ প্রকাশ্যে মেনে নিয়েছেন যে প্রথম টেস্টে তিনি নিজের সেরা বোলিং করতে পারেননি।
শনিবার ফিটনেস পরীক্ষা দেওয়ার পর সোজা নেটে ঢুকে যান বুমরাহ। তাঁর সঙ্গে একটানা বোলিং করেন মহম্মদ সিরাজ এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ। দীর্ঘক্ষণ ধরে তাঁরা নেটে বল চালিয়ে যান। ব্যাটারদের মধ্যে সাই সুদর্শন সবার আগে নেটে নেমেছিলেন। তবে নেটে দেখা মেলেনি শুভমন, ঋষভ পন্থ, রাহুল এবং যশস্বী জয়সওয়ালের। এঁরা চারজনই শুক্রবার দীর্ঘসময় ব্যাটিং করেছিলেন।

প্রথম টেস্টে হারের পর সুনীল গাওস্কর জানিয়েছিলেন, ঐচ্ছিক অনুশীলনের প্রথা বাতিল করে প্রতিটি ক্রিকেটারের জন্য নেটে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা উচিত। বাস্তবে অবশ্য দেখা যাচ্ছে, শুভমনরা গাওস্করের সেই কথায় বিশেষ গুরুত্ব দিলেন না।
প্রথম টেস্টে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ২০০-র বেশি রান দিয়েছেন এবং প্রতি ওভারে ছয়ের বেশি রান খরচ করেছেন। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “প্রথম ইনিংসে যেখানে বল করা উচিত ছিল, তার চেয়ে এগিয়ে বল করছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা ভালো বল করলেও উইকেট তখন মন্থর হয়ে পড়েছিল। ফুল লেংথে বল করতে চেয়েছিলাম, কিন্তু সেটি কার্যকর করা সম্ভব হয়নি।”
প্রসিদ্ধ আরও বলেন, “আমি যে লেংথে বল করতে চেয়েছিলাম, তা ঠিকমতো করতে পারিনি। পিচের চরিত্রের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারিনি। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে সেটি করা উচিত ছিল। ব্যর্থতার দায় আমি সম্পূর্ণ নিজের কাঁধে নিচ্ছি। চেষ্টা করব, আগামীতে আরও ভালো পারফরম্যান্স দিতে।”
তাঁর মতে, প্রথম টেস্টে বৃষ্টির কারণে বোলিং আরও কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তিনি জানান, “বল মাঠে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ভিজে যাচ্ছিল এবং নরম হয়ে যাচ্ছিল। চকচকে ভাবও হারাচ্ছিল। ফলে বল করা অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আকাশ মেঘলা থাকলে সুইং পাওয়া যায়, কিন্তু রোদ উঠলে তা সম্ভব নয়। ভিজে বল আমাদের কাজ কঠিন করে তুলেছিল।”
Share