AFC Asian Cup

২০০৩ সালের পর প্রথমবার, এএফসি মহিলা এশিয়ান কাপ ২০২৬-এর যোগ্যতা অর্জন করল ভারত

এর আগে ২০০৩ সালে, ভারত শেষবার সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছিল। বর্তমানে যে নিয়মে যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় সেই সময়ের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা ছিল।

গোল করে উচ্ছাস প্রকাশ সঙ্গীতা বাসফোরের।
নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা
  • শেষ আপডেট:০৬ জুলাই ২০২৫ ১২:৩৬

এএফসি এশিয়ান কাপ ২০২৬-এ চূড়ান্ত পর্বের জন্য যোগ্যতা অর্জন করল ভারতীয় মহিলা দল। শনিবার ভারতীয় মহিলা দল থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই স্টেডিয়ামে থাইল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়েছে। এই জয়ই ভারতকে চুড়ান্ত পর্বে যাওয়া নিশ্চিত করেছে।

ভারত গ্রুপ ‘বি’-এর যোগ‍্যতা নির্ধারণ রাউন্ডে চার ম্যাচে চারটিতেই জয় পেয়েছে। এর ফলে ভারত গ্রুপ-‘বি’-এর তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে। এই প্রথমবার ভারতীয় মহিলা ফুটবল দল কোনও মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে জায়গা করে নিল।

২০২৬ সালে এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে অস্ট্রেলিয়ায়। ২০২২ সালের পর এটি হবে ভারতের প্রথম এশিয়ান কাপ অভিযান। সেই বছর ভারত অংশ নিলেও কোভিড-১৯ সংক্রমণের কারণে মাঝপথে টুর্নামেন্ট ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল।

এর আগে ২০০৩ সালে, ভারত শেষবার সরাসরি যোগ্যতা অর্জন করেছিল। বর্তমানে যে নিয়মে যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয় সেই সময়ের ব্যবস্থা সম্পূর্ণ আলাদা ছিল।

এ দিনের থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের ২৮তম মিনিটে প্রথম গোলটি করেন সঙ্গীতা বাসফোর। প্রথমার্ধের পরেই ৪৭তম মিনিটে চাটচাওয়ান রদথং-এর গোলে সমতায় ফেরে থাইল্যান্ড। ৭৪তম মিনিটে আবারও গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন সঙ্গীতা। এর পর বাকি সময় ভারতের দৃঢ় রক্ষণভাগ থাইল্যান্ডকে আর গোল করার সুযোগ দেয়নি। ম্যাচের নায়িকা হয়েছেন মিডফিল্ডার সঙ্গীতা বাসফোর। সঙ্গীতার দুর্দান্ত দু’টি গোলই ভারতের জয় নিশ্চিত করে দিয়েছে।

ফিফার মহিলা ফুটবলের তালিকায় থাইল্যান্ড ভারত থেকে ২৪ ধাপ ওপরে রয়েছে। এর ফলে থাইল্যান্ডকে ম্যাচের আগেও ফেভারিট হিসেবে ধরা হচ্ছিল। তবে ভারতের মেয়েরা প্রথম থেকে দাপটের সঙ্গে দৃষ্টিনন্দন ফুটবল খেলেছেন বলে মনে করছেন ফুটবল বিশেষজ্ঞরা।

ভারত প্রথম ম্যাচেই ১৩-০ ব্যবধানে মঙ্গোলিয়াকে হারায়। এর পর তিমুরলেস্তেকে চার গোলে হারায়। পরবর্তী ম্যাচে পাঁচ গোলের ব্যবধানে ইরাককে পরাজিত করে।

এই ম্যাচের আগে উভয় দলের গোল পার্থক্য ছিল ২২। গোলের সংখ্যা অনুযায়ী কেউ কারোর থেকে এগিয়ে ছিল না। ফলে ম্যাচটিতে জিততেই হত ভারতকে।

ভারত এর আগে কখনোই থাইল্যান্ডের মহিলা ফুটবল দলকে হারাতে পারেনি। এমনকি গতবছর চীনে অনুষ্ঠিত হওয়া এশিয়ান গেমসে তাদেরকে এক গোলের ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছিল। কিন্তু এ বার সঙ্গীতা ও তার সতীর্থেরা ইতিহাসের পাতায় যায়গা করে নিলেন। এই যোগ্যতা অর্জন ভারতীয় মহিলা ফুটবল দলের সামনে এক নতুন দিগন্ত খুলে দিল। ২০২৭ সালের সম্ভাব্য প্রথম ফিফার মহিলা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণের আশা দেখছেন তারা। সেই স্বপ্নপূরণের পথ ২০২৬ সালের অস্ট্রেলিয়া থেকেই শুরু করতে চায় ভারতীয় মহিলা ফুটবলারেরা।


Share