Drug Seized

কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানায় ১২ হাজার কোটি টাকার মাদক উদ্ধার, গ্রেফতার এক বাংলাদেশি মহিলা-সহ মোট ১২ জন

তেলেঙ্গানার চেরামাল্লিতে একটি রাসায়নিক কারখানায় মহারাষ্ট্র পুলিশ অভিযান চালায়। এই মাদক পাচারচক্রের মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাস্থল থেকে ৩৫ হাজার লিটার মাদক তৈরির রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

তেলেঙ্গানার মাদক তৈরির কারখানায় পুলিশের অভিযান।
নিজস্ব সংবাদদাতা, চেরামাল্লি
  • শেষ আপডেট:০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৩:৩১

কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানায় উদ্ধার হল ১২ হাজার কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক। মাদক পাচারের অভিযোগে এক বাংলাদেশি মহিলা-সহ ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্র পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীও রয়েছেন। তাঁরা রাসায়নিক কারখানার আড়ালে মাদক তৈরির কারবার চালাতেন বলে অভিযোগ। এর পরে দালালদের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেওয়া হত। বাজেয়াপ্ত করা মাদকগুলি মেফেড্রোন (এমডি) বলে খবর। 

জানা গিয়েছে, গত অগস্টে মহারাষ্ট্রের মীরা রোড এলাকা থেকে ২৪ লক্ষ টাকার মাদক-সহ ফতেমা মুরাদ শেখ ওরফে মোল্লা (২৩) নামে এক তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ফাতেমা বাংলাদেশের নাগরিক বলে জানিয়েছে মহারাষ্ট্র পুলিশের এক কর্তা। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা বিভিন্ন এজেন্টের খোঁজ পেয়েছিল। 

এর পরেই তদন্তকারীরা কংগ্রেস শাসিত তেলেঙ্গানায় একটি রাসায়নিক কারখানার খোঁজ পায়। প্রায় এক মাস ধরে ওই কারখানার ওপর চলতে থাকে নজরদারি। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের এমবিভিভি থানার পুলিশ এবং অপরাধ দমন শাখার আধিকারিকেরা চেরামাল্লি এলাকায় ওই কারখানায় যৌথ অভিযান চালান।

এমবিভিভি পুলিশ কমিশনার নিকেত কৌশিক জানিয়েছে, অভিযানে প্রায় পাঁচ কেজি ৯৬৮ গ্রাম মেফেড্রোন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২৭টি মোবাইল ফোন, তিনটি গাড়ি, চারটি ইলেকট্রনিক ওজন মাপার যন্ত্র এবং নগদ ২৩ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা নগদ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সুত্রের খবর, মাদক তৈরির কাজে ব্যবহার করা ৩৫ হাজার লিটার রাসায়নিক তরল উদ্ধার করা হয়েছে তেলেঙ্গানার ওই কারখানা থেকে।

এই মামলায় মোট ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, কারখানাটি অনেক বছর আগে তৈরি হয়েছিল। অভিযোগ, রাসায়নিক কারখানার আড়ালে গোপনে মাদক তৈরির কারবার চলছিল। মাদকগুলি স্থানীয় অপরাধী ও দালালের মাধ্যমে মুম্বইতে সরবরাহ করা হচ্ছিল। ধৃত বাংলাদেশি তরুণী ফতেমা মুরাদ শেখ দালালের কাজ করতেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। 

পুলিশ আরও জানিয়েছে জানিয়েছে, এই মামলার মূল অভিযুক্ত একজন তথ‍্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। তিনি রাসায়নের জ্ঞানকে অপব্যবহার করে অপরাধ সংগঠিত করেছিলেন। এই ঘটনায় আরও কেউ বা কারা জড়িত রয়েছে কি না তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


Share