Nepal's gen Z wants Balendra Shah as Prime Minister

নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে আন্দোলনরত ছাত্র-যুবরা চাইছেন কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহকে

২০২২ সালে কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ৬১ হাজার ভোটে জয়ী হন তিনি। প্রতিষ্ঠিত দলগুলির প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিকদের হারিয়ে দিয়ে সে দেশের অনেককেই চমকে দিয়েছিলেন তিনি।

বলেন্দ্র শাহ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঠমান্ডু
কাঠমান্ডু
  • শেষ আপডেট:০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৬:১৪

ছাত্র-যুব আন্দোলনের জেরে পতন হয়েছে নেপালের চিনপন্থী কমিউনিস্ট পার্টির সরকারের। এ বার সেই ছাত্র-যুবদের দাবিতেই নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন বলেন্দ্র শাহ ওরফে বলেন।

মঙ্গলবার দুপুরে ছাত্র-যুবদের আন্দোলনের কাছে নতিস্বীকার করে পদত্যাগ করেছেন নেপালের সদ্যপ্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সেনার কপ্টারে তিনি দেশ ছেড়েছেন বলেও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এই বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।

এই পরিস্থিতিতে অস্থির নেপালের দায়িত্ব কাঠমান্ডুর মেয়র, বছর পঁয়ত্রিশের বলেন্দ্রর হাতে তুলে দিতে চাইছেন আন্দোলনকারীরা। নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলি এমনটা জানিয়েছে।তাঁকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে করা একাধিক পোস্টে এই জল্পনা ছড়িয়েছে।

কে এই বলেন্দ্র শাহ? ২০২২ সালে কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে ৬১ হাজার ভোটে জয়ী হন তিনি।নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠিত রাজনীতিককে হারিয়ে দিয়ে সে দেশের অনেককেই চমকে দিয়েছিলেন তিনি।

১৯৯০ সালে কাঠমান্ডুতে জন্ম বলেন্দ্রের। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। উচ্চশিক্ষার জন্য ভারতে আসেন। নেপালে র‍্যাপার এবং সুরকার হিসাবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। নিজের সুরারোপ করা গানেও দুর্নীতি এবং আর্থিক বৈষম্য নিয়ে বিদ্রুপ করেছেন বলেন্দ্র। সমাজমাধ‍্যমে পাওয়া জনপ্রিয়তাকে অস্ত্র করেই ভোটে দাঁড়ান তিনি। জয়লাভও করেন।

নেপালের ছাত্র-যুব আন্দোলনে শামিল না-হলেও দূর থেকেই তাকে সমর্থন করেছিলেন বলেন্দ্র। সরাসরি অংশগ্রহণ না-করার কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, এটা ‘জেন জ়ি’দের আন্দোলন। সেই হিসাবে আঠাশোর্ধ্ব কেউ আন্দোলনে যোগ দিক, তা চাননি বলেন্দ্র।

তবে ছাত্র-যুবদের বক্তব্য সরকারের শোনা উচিত বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে তিনি লেখেন, “আমি ওঁদের (আন্দোলনকারী) ইচ্ছা, লক্ষ্য এবং ভাবনার কথা জানতে চাই।”

এই আন্দোলনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার না-করার জন্য তিনি আর্জি জানান নেপালের রাজনৈতিক দলগুলিকে। সশরীরে হাজির না-থাকলেও আন্দোলনকে ‘পূর্ণ সমর্থন’ জানান বলেন্দ্র।

তবে ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘক্ষণ বৈঠক নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। আমেরিকার দক্ষিণ এশীয় দেশগুলিতে নির্বাচিত সরকার ফেলার প্রক্রিয়া হিসেবে বলেন্দ্রের জনপ্রিয়তাকে ব‍্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করছে একাধিক মহল।


Share