Dead Body Recovery

ছ’মাস আগে আত্মঘাতী হয়েছিলেন বাবা-মা, এ বার মেয়ের নিথর দেহ উদ্ধার হল চন্দননগরের বাড়িতে, তদন্তে পুলিশ

হুগলির চন্দননগরের বৈদ্যপোতা এলাকায় ফাঁকা বাড়ি থেকে উদ্ধার তরুণীর মৃতদেহ। মাস ছ’য়েক বাবা-মা মারা গিয়েছিলেন। তবে বুধবার বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ ছড়াতেই তরুণীর মৃত্যু ধরা পড়ে।

ফাঁকা বাড়ি থেকে উদ্ধার তরুণীর মৃতদেহ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দননগর
  • শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:১৭

ফাঁকা বাড়ি থেকে উদ্ধার হল তরুণীর তরুণীর দেহ। মাস ছ’য়েক আগেও আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন একই পরিবারের তিন সদস্য। ঘটনায় বাবা মা মারা গিয়েছিলেন। সেই ঘটনায় বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে যায় মেয়ে। ছ'মাস আগেই বাবা-মাকে হারিয়েছেন তিনি। এ বার ওই তরুণীর দেহ উদ্ধার হল বাড়ি থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চন্দননগরে বৈদ্যপোতা এলাকায়। 

পুলিশ জানিয়েছে, চলতি বছরের ৬ জুন আর্থিক অনটনের কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন শর্মিষ্ঠা-সহ তাঁর বাবা একেন্দ্রনাথ দাস (৮৭) ও মা সুনীতা দাস (৮৩)। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাওয়ায় বাবা-মা মারা যান। তবে শর্মিষ্ঠা প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। সুস্থ হয়ে তিনি জানিয়েছিলেন, আর্থিক অনটনের কারণে সংসার চালাতে পারছিলেন না। তাই পরিবারের সকলে একসঙ্গে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এক সময়ে বেশ সচ্ছল ছিল তাঁদের পরিবার। কয়লার ব্যবসা ছিল তাঁদের। পরে আর্থিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়ে। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর থেকে শর্মিষ্ঠার দায়িত্ব কাঁধে নেন প্রতিবেশীরাই। তাঁরাই দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থাও করতেন। তবে গত দু’দিন ধরে শর্মিষ্ঠাকে দেখা যাচ্ছিল না বলে জানান স্থানীয়েরা। খাবার দিলেও তিনি খেতেন না বলেও জানা গিয়েছে। মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। বুধবার সকালে বাড়ির খোলা জানালা দিয়ে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। ঘর থেকে দুর্গন্ধ বেরোতে শুরু করলে খবর দেওয়া হয় পুলিশে।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছোয় চন্দননগর থানার পুলিশ। শর্মিষ্ঠার দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গুরুতর অসুস্থ হয়েই মৃত্যু হয়েছে শর্মিষ্ঠার। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে বলে জানান এক পুলিশ আধিকারিক। আপাতত একটি রহস‍্যমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে।


Share