Special Intensive Revision

জীবিত হয়েও খসড়া ভোটার তালিকায় লেখা ‘মৃত,’ হুগলির চুঁচুড়ার ঘটনা

ওই বুথের বাসিন্দা বৃদ্ধ দম্পতি স্নেহময় ও শিখা ভট্টাচার্যের বড় ছেলে দেবময় ভট্টাচার্যকে মৃত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেবময় গত চার বছর ধরে জামশেদপুরের বাসিন্দা। চাকরির সুবাদে স্ত্রী মনিকাকে নিয়ে সেখানেই থাকেন।

দেবময় দত্ত-র ভোটার কার্ড।
নিজস্ব সংবাদদাতা, চুঁচুড়া
  • শেষ আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:০০

গতকাল এসআইআর -এর খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে ডানকুনির তৃনমূল কাউন্সিলর সূর্য দে'র নাম রয়েছে মৃতের তালিকায়। এ বার ফের এসআইআর -এর খসড়া তালিকায় জীবিত মানুষের নাম মৃত বলে উল্লেখ। ঘটনাটি চুঁচুড়া বিধানসভার নলডাঙার ১২০ নম্বর বুথে। ভোটারের নাম দেবময় ভট্টাচার্য।

ওই বুথের বাসিন্দা বৃদ্ধ দম্পতি স্নেহময় ও শিখা ভট্টাচার্যের বড় ছেলে দেবময় ভট্টাচার্যকে মৃত বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। দেবময় গত চার বছর ধরে জামশেদপুরের বাসিন্দা। চাকরির সুবাদে স্ত্রী মনিকাকে নিয়ে সেখানেই থাকেন। স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে জামশেদপুরেই তার ভোটার তালিকায় নাম উঠেছে।

এ রাজ্যে এসআইআর শুরু হতেই বিএলও কে সব তথ্য দেওয়া হয়েছিল। জামশেদপুরের ভোটার কার্ডও দেখিয়েছিলেন বিএলওকে। দেবময় নিজে বিএলও -র সঙ্গে নিজেও ফোনে কথা বলেছিলেন। অথচ তালিকা বের হতেই দেখা গেল তার নামের পাশে মৃত লেখা।

বিএলও মলয় দত্তকে বিষয়টি জানান দেবময়ের মা বাবা। বিএলও তাদের টেলিফোনে জানান,তার কাছে যে তথ্য আছে তাতে দেবময় ও মনিকার নাম অন্য জায়গায় রয়েছে।অর্থাৎ ইতিমধ্যে তালিকা ভুক্ত। সেখানে কি করে মৃত তালিকায় নাম এল তা বুঝতে পারছেন না। কোথাও একটা ভুল হয়েছে।

মনিকার নাম ইতিমধ্যে তালিকা ভুক্ত দেখালেও দেবময়ের পাশে লেখা মৃত। বৃদ্ধ দম্পতি জানান,এটা কি করে মেনে নিই বলুন তো। আমার ছেলে জীবিত তাকে মৃত বলে দেওয়া হচ্ছে। এটা একটা ভুল। এই ভুল যে করেছে তাকেই সংশোধন করতে হবে। আমরা এই বয়সে দৌড় ঝাঁপ করতে পারব না।

দেবময় বহুজাতিক সংস্থা চাকরি করেন।বর্তমানে কাতারে রয়েছে। সেখান থেকে ফোনে বলেন, "এরা জীবিত মানুষকে মৃত বলে দিচ্ছে কিছু বলার নেই। আমি আর আমার স্ত্রী জামশেদপুরে থাকি। তাই আবেদন করেছিলাম যাতে নলডাঙা থেকে নাম কাটিয়ে দেওয়ার জন্য। আমি নিজে বিএলও- র সঙ্গে কথা বলেছি। তারপরেও এরকম হলে সেটা মানসিক অত্যাচার।"


Share