College worker's hanging body

বালুরঘাট বিএড কলেজে প্রাক্তন কলেজ কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, প্রাথমিক তদন্তে আত্মহত্যার অনুমান

মঙ্গলপুরের বাসিন্দা ও কলেজের প্রাক্তন কর্মী গোপাল এ দিন কলেজে যায়। অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে গল্পগুজবও করেন তিনি। কলেজের এক কর্মীর দাবি, গল্প সেরে গোপাল কলেজ থেকে বেরিয়ে গেছিল। এরপর দুপুর বেলা, তার কলেজেরই একটি ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

বালুরঘাট বি.এড কলেজ
নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট
  • শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৫০

কলেজের ভিতর থেকে উদ্ধার ওই কলেজেরই প্রাক্তন কর্মীর ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে বালুরঘাট বি.এড কলেজে। মৃতের নাম গোপাল চক্রবর্তী। কলেজ সূত্রের খবর, বি.এড কলেজের তিনতলার একটি ঘর থেকে ওই কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়। কলেজেরই এক সাফাই কর্মী ঘর পরিষ্কার করতে গিয়ে প্রথম দেহটি দেখতে পান। আত্মহত্যা হতে পারে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।

মঙ্গলপুরের বাসিন্দা ও কলেজের প্রাক্তন কর্মী গোপাল এ দিন কলেজে যায়। অন্যান্য কর্মীদের সঙ্গে গল্পগুজবও করেন তিনি। কলেজের এক কর্মীর দাবি, গল্প সেরে গোপাল কলেজ থেকে বেরিয়ে গেছিল। এরপর দুপুর বেলা, তার কলেজেরই একটি ঘর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। আত্মহত্যার অভিযোগ উড়িয়ে পরিবারের দাবি, গোপাল কোনও সমস্যার মধ্যে ছিলেন না। কয়েকদিন আগেই হার্টের অপারেশন সেরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছিলেন গোপাল, তিনি কেন আত্মহত্যা করবেন, সেই প্রশ্ন তুলেছে পরিবার।

মৃতের আত্মীয়া পৌষালি মজুমদার এবং সুকুমার গোস্বামীর অভিযোগ, ‘এই মৃত্যুর পিছনে কিছু লুকোনো আছে।’ তাঁদের দাবি, ঘটনাস্থলে বেশ কিছু ‘অস্বাভাবিক’ বিষয় নজরে এসেছে। পরিবারের ক্ষোভ আরও বেড়েছে অধ্যক্ষ ববি মহন্তের ভূমিকা ঘিরে। মৃত্যুর পরপরই তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে অধ্যক্ষ নাকি সামনে আসেননি। তাকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোনটি ধরেননি।

এ দিন ঘটনার খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ কলেজে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যার ইঙ্গিত মিললেও পরিবারের সন্দেহ করছে এই মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরিবারের অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে শুরু হয়েছে ঘটনার তদন্ত। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সৎকারের পরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হবে।


Share