Suicide

ছেলের মৃত্যুর শোক! হুগলিতে একসঙ্গে আত্মঘাতী তিন জন, তদন্তে পুলিশ

আজ, মঙ্গলবার হুগলির গোঘাটের বেঙ্গাই পঞ্চায়েতের উপশালঝাড় গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। মৃতদের নাম নন্দী (৭১), কাশীনাথ নন্দী (৫৫) এবং মমতা নন্দী (৪৭)।

মৃত বাবা,মা - কাশীনাথ নন্দী এবং মমতা নন্দী
এখন কলকাতা ডেস্ক
গোঘাট two female and one male committed suicide at Gogha
  • শেষ আপডেট:১৭ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০০

পারিবারিক অশান্তির জেরে ছেলের মৃত্যু হয়েছিল আট মাস আগে। এ বার সেই পরিবারের তিন জন একসঙ্গে আত্মহত্যা করলেন। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাটে। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে তাঁদের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির পাশে গোয়ালঘর থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে গোঘাট থানার পুলিশ।? 

বৃহস্পতিবার সকালে এই তিন জনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায় হুগলির গোঘাটের বেঙ্গাই পঞ্চায়েতের উপশালঝাড় গ্রামে। মৃতদের নাম অনিমা নন্দী (৭১), কাশীনাথ নন্দী (৫৫) এবং মমতা নন্দী (৪৭)। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশে একটি গোয়ালঘরে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান প্রতিবেশীরা। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে আসে গোঘাট থানার পুলিশ। মৃতদেহগুলি উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।? 

জানা গিয়েছে, আট মাস তাঁদের ছেলে শান্তনু নন্দী মারা যান। তিনি ডাক্তারি পড়ুয়া ছিলেন। এর পর থেকেই ওই পরিবার মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেছিল। শান্তনুর চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছিলেন না তাঁর বাবা, মা এবং ঠাকুমা। প্রতিবেশীদের দাবি, পাড়ার লোকজন এবং আত্মীয়দের সঙ্গেও কথাবার্তা কমিয়ে দিয়েছিলেন তাঁরা। কারও সঙ্গে সে ভাবে মেলামেশাও করতেন না। এ দিন সকালে কাউকে বাড়ি থেকে বেরোতে না দেখে সন্দেহ হয় তাঁদের। তাঁরা বাড়ির বাইরে থেকে অনেক ডাকাডাকিও করেন। কিন্তু কেউ সাড়া দেননি। এর পর দরজা ভেঙে বাড়ির মধ্যে গিয়ে তাঁরা দেখেন, পাশের গোয়ালঘরে তিন জনই গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছে।? 

বৃহস্পতিবার হুগলি গ্রামীণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষাণু রায় বলেন, “প্রতিবেশীদের দাবি, নন্দী পরিবারের সদস্যরা অবসাদে ভুগছিলেন। প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁরা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর কারণ নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।”? 


Share    

হাইলাইটস