Saltlake Accident

রেলিংয়ে সজোরে ধাক্কা খেয়ে গাড়িতে বিস্ফোরণ, মাঝে আটকে ঝলসে গেল যুবক, রণক্ষেত্র সল্টলেক

বুধবার বিকেলে কেষ্ঠপুর ও সল্টলেকের মাঝে ৮ নম্বর ব্রিজের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। মাঝে আটকে পড়ে ওই ডেলিভারি বয়।

রেলিংয়ে ধাক্কা মেরে গাড়িতে লাগল আগুন।
নিজস্ব সংবাদদাতা: সল্টলেক
  • শেষ আপডেট:১৩ আগস্ট ২০২৫ ০৬:২২

সল্টলেকে ভয়াবহ পথদুর্ঘটনার বলি এক যুবক। রাস্তার ধারে রেলিংয়ে সজোরে ধাক্কা মেরে গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিল এক যুবক। প্রত‍্যক্ষদর্শীদের দাবি, সে বেরিয়ে আসার সময় পায়নি। পেশায় ডেলিভারি বয়ের ঘটনাস্থলেই ঝলসে মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ।

বুধবার বিকেলে কেষ্ঠপুর ও সল্টলেকের মাঝে ৮ নম্বর ব্রিজের কাছে ঘটনাটি ঘটেছে। জানা গিয়েছে, একটি গাড়ি কুরিয়ার সার্ভিসের একটি গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা মেরে গাড়িটি সোজা রেলিংয়ে গিয়ে ধাক্কা মারে। সেই সময় রেলিংয়ের সামনে ছিলেন ওই যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, গাড়িটি ধাক্কা মারার মুহূর্তেই তাতে আগুন ধরে যায়। হয় বিস্ফোরণ। রাহুল মণ্ডল নামে ওই ডেলিভারি বয়ে বেরিয়ে আসতে পারেননি। ঘটনাস্থলেই ঝলসে মারা যান। গাড়িতে থাকা তিন জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, তাঁদের মধ্যে একজনের আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।

এর পরেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়েরা। অভিযোগ, পুলিশ সেই সময় উপস্থিত ছিল। কিন্তু দমকলে খবর দেওয়ার বদলে ভিডিয়ো করছিলেন। শুরু হয় বচসা। বেশ কিছু ক্ষণ পরে দমকলের ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এলে তাতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ইঞ্জিন লক্ষ্য করে ছোড়া হয় পাথর। পুলিশকে লক্ষ্য করেও ইট ছোড়ে উত্তেজিত জনতা। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে।

দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল ৫টা ৪০ মিনিট নাগাদ তাদের কাছে এই দুর্ঘটনার খবর যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে এনে ওই ডেলিভারি বয়কে উদ্ধার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় পুলিশের গাফিলতির দিকে আঙুল তুলেছেন স্থানীয়েরা। এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, “পুলিশের সামনেই যা হওয়ার হয়েছে। আমরা গিয়ে গাড়ি থেকে লোকজনকে বের করে এনেছি।” আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, “দমকল দেরিতে আসায় আমরা বালতি দিয়ে জল দিয়েছি। আগুনের তাপে আমরা সামনে যেতে পারিনি। বাঁচাতে পারিনি ছেলেটাকে। পুলিশ ঠিক মতো কাজ করলে এটা হতো না।”

বুধবার এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “আমরা ঘটনাস্থলে এসে দেখি গাড়িটি জ্বলছে। এক জন মারা গিয়েছেন। জখমদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দমদম আসার সময় কয়েকজন ঢিল ছুড়ছিলেন। প্রথমে আমরা কিছু বলিনি।  কিন্তু তাঁরা রাস্তা আটকানোর চেষ্টা করলে কাঁদানে গ্যাস ব‍্যবহার করতে হয়।”


Share