Fake Currency Case

চম্পারণে জাল নোট-কাণ্ডে পাকিস্তান যোগ, চার অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিল এনআইএ

গতকাল এনআইএ বিহারের চম্পারণের জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় চার্জশিট দিয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক দেশবিরোধী আইনের ধারা দেওয়া হয়েছে।

জাল নোট উদ্ধারের ঘটনায় চার্জশিট দিল এনআইএ।
নিজস্ব সংবাদদাতা: পটনা
  • শেষ আপডেট:১৩ আগস্ট ২০২৫ ১১:১২

২০২৪ সালে বিহারের চম্পারণে জাল নোটকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছিল চারজনকে। এ বার সেই তদন্তে উঠে এসেছে পাকিস্তান যোগ। মঙ্গলবার সেই মর্মে এনআইএ পটনার বিশেষ আদালতে চার্জশিট জমা দিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-এর দাবি, সেই জাল নোটগুলি নেপাল হয়ে এ দেশে এসেছে।

২০২৪ সালে বিহার পুলিশ ১,৯৫,০০০ টাকার জাল নোট উদ্ধার করে। পাচারের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতেরা হল মহম্মদ নাজার সাদ্দাম, মহম্মদ ওয়ারিস, মহম্মদ জাকির হুসেন এবং মুজাফফর আহমেদ ওয়ানি ওরফে সরফরাজ। মঙ্গলবার এনআইএ পটনার বিশেষ আদালতকে ধৃতদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ও নেপাল যোগের অভিযোগ তুলে চার্জশিট দাখিল করেছে।

এনআইএর তদন্তে উঠে এসেছে, সাদ্দাম ওয়ারিস, জাকির এবং মুজাফফর জাল নোটের আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। মিলেছে পাকিস্তান যোগও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিপুল পরিমাণে জাল নোট পাকিস্তানের কোনও সংস্থা থেকে নিয়ে আসা হয় নেপালে। তা কিনতে নেপালের দালালদের মাধ্যমে ক্রিপ্টোকারেন্সির ব‍্যবহার করা হয়েছে। সেই জাল নোট (এফআইসিএন) নেপাল হয়ে দেশে ঢুকেছে বলে আদালতকে জানিয়েছেন তাঁরা।

এনআইএ জানিয়েছে, “তদন্তে প্রমাণ মিলেছে যে তারা নেপাল থেকে ভারতে বিপুল পরিমাণে জাল ভারতীয় নোট পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিল। এদের উদ্দেশ্য ছিল দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করা।”

মঙ্গলবার এনআইএ আরও জানিয়েছে, “মহম্মদ নাজার সাদ্দাম, মহম্মদ ওয়ারিস ও মহম্মদ জাকির হুসেন একসঙ্গে নেপাল থেকে ভারতে জাল নোট পাচারে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল।মুজাফফর আহমেদ ওয়ানি ওরফে সরফরাজ ভারতে সেই সব জাল নোট সংগ্রহ করত। এর পরে তা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য অর্থ ও লজিস্টিক সহায়তা দিচ্ছিলেন।”

এ দিন এনআইএ পটনার বিশেষ আদালতে মুজাফফর আহমেদ ওয়ানি ওরফে সরফরাজের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইন (ইউএপিএ) এর একাধিক ধারায় চার্জশিট দাখিল করেছে। প্রসঙ্গত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এর আগে গত ২০২৪ সালের অক্টোবরে স্থানীয় পুলিশ চার্জশিট দাখিল করেছিল। ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এনআইএ মামলাটি হাতে নেয়। চলতি বছরের জানুয়ারিত মাসে অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করে।


Share