School Admission Fraud

মিশনারি স্কুলে ভর্তি করানোর নামে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ, কসবার আবাসন থেকে গ্রেফতার এক মহিলা

জানা গিয়েছে, স্কুলে ভর্তি করানোর নাম করে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন ধৃত মার্গারেট জেভিয়ার, রোজি জেভিয়ার এবং রিকার্ডো পল জেভিয়ার।

স্কুলে ভর্তি করানোর নামে প্রতারণার অভিযোগ।
নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১৪ আগস্ট ২০২৫ ০৮:২০

শহরের মিশনারি স্কুলে শিশুকে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল। সন্তানের মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার কসবার নিজের ফ্ল্যাট থেকেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।

লালবাজার সূত্রের খবর, অভিযোগকারিণীর নাম সোমাইলা আসিফ। তিনি একবালপুরের বাসিন্দা। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাস থেকে একটি প্রতারণাচক্রের ফাঁদে পড়েন বলে তিনি একবালপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। মোট তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে এক অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

জানা গিয়েছে, কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ভর্তি করানোর নাম করে অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন  শীলা স্বামী ওরফে মার্গারেট জেভিয়ার, রোজি জেভিয়ার এবং রিকার্ডো পল জেভিয়ার। অভিভাবকদের বিশ্বাস অর্জন করার জন্য ভর্তির ফর্ম ও স্কুলের স্ট্যাম্প দেওয়া রসিদ প্রস্তুত করে দেওয়া হয়েছে। ভর্তির ফর্ম এবং রসিদগুলি নকল বলেই দাবি। সোমাইলার অভিযোগ, তাঁর সন্তানকে স্ট্যান্ডার্ড ওয়ানে ভর্তি করানোর নাম করে ১২ লক্ষ ৪৭ হাজার ৮০০ টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেই টাকা কখনও নগদে কখনও ইউপিআইয়ের মাধ্যমে লেনদেন করা হয়েছে।

টাকা দিয়েও তিনি তার সন্তানকে সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলে ভর্তি করাতে পারেননি। টাকা ফেরতও পাননি। কসবা এলাকার একটি আবাসন মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫ মিনিট নাগাদ পুলিশ অভিযান চালায়। সেখান থেকেই আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে শীলা স্বামী ওরফে মার্গারেট জেভিয়ারকে একবালপুর থানায় পুলিশ গ্রেফতার করেছে।

প্রথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, সেমাইলার সঙ্গে অভিযুক্তের মোট ৩২টি লেনদেনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেই অঙ্কটা ঠিক কত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, “২০২৩ সালের ৬ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অভিযোগকারিণীর অ্যাকাউন্ট থেকে শীলা স্বামীর  অ্যাকাউন্টে ৩২টি ইউপিআইয়ের মাধ্যমে মোট ছ’লক্ষ ৮২ হাজার ৮০০ টাকা লেনদেন হয়েছে। এছাড়াও নগদ চার লক্ষ দশ হাজার এবং দু’টি চেকে একটিতে এক লক্ষ ৪০ হাজার ও অন্যটিতে ৬০ হাজার টাকা নিয়েছে শীলা স্বামী ওরফে মার্গারেট জেভিয়ার।”

পুলিশ মার্গারেটকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই চক্রের পিছনে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি এপ্রতারণার মাধ্যমে অর্জিত অর্থ কোথায় কাজে লাগানো হয়েছে তা-ও তদন্ত করে দেখছে পুলিশ। অভিযুক্তকে আগামী ১৯ অগস্ট পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।


Share