Nabanna Abhiyan

নবান্ন অভিযানে ভুলুণ্ঠিত জাতীয় পতাকা, অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর, পার্কস্ট্রিটে ধুন্ধুমার, লাঠিচার্জ পুলিশের

বিকেল ৪টে পর্যন্ত পার্কস্ট্রিট রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তার পরে কর্মসূচি প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেন তিনি।

দেশের জাতীয় পতাকাকে অপমান করার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে।
নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা
  • শেষ আপডেট:০৯ আগস্ট ২০২৫ ০৭:৩৮

আরজি করকাণ্ডের এক বছর পূর্তিতে ‘নবান্ন অভিযান’ ডাক দিয়েছিলেন নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা। তাঁদের ডাকা মিছিলে পা মিলিয়ে ছিলেন রাজ‍্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী-সহ এক ঝাঁক বিজেপি বিধায়ক। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ জাতীয় পতাকা মারিয়েছে। এ দিন পার্কস্ট্রিট মিছিল পৌঁছাতেই রণক্ষেত্রের পরিস্থিতি তৈরি হয়। লাঠিচার্জ করে পুলিশ। সেই সময় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। শনিবার রাজ‍্যের বিরোধী দলনেতা এর বিরুদ্ধে আদালতে যাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

রানি রাসমণি অ‍্যাভেনিউয়ে জমায়েত এবং বিক্ষোভ প্রদর্শনের কথা বলা হলেও নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা-মা’র নেতৃত্বে মিছিল সেখানে না গিয়ে সোজা হেস্টিংসের দিকে রওনা হয়। তার পিছনের সারিতে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পার্কস্ট্রিট পৌঁছাতেই শুভেন্দুদের আটকে দেয় পুলিশ। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ব‍্যারিকেড ঠেলে মিছিল এগিয়ে যেতে চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে ব‍্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। প্রস্তুত ছিল পুলিশবাহিনীও। রণক্ষেত্রের চেহারা নিলে প্রথমে পুলিশ বলপ্রয়োগ করে। পরে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে গেলে এলোপাথাড়ি লাঠিচার্জ শুরু করে।

এ দিন আন্দোলনকারীদের সঙ্গে শুধু দেশের জাতীয় পতাকা এবং ছোট ব‍্যানার ছিল। লাটিচার্জের সময় কয়েকজন রাস্তায় পড়ে যান। পড়ে যায় তাঁদের হাতে থাকা জাতীয় পতাকাও। শুভেন্দুর অভিযোগ, “মমতার পুলিশ, মনোজ বর্মার পুলিশ আমাদের জাতীয় পতাকা মারিয়েছে। কোথায় যাবে এরা? কে বাঁচাবে এদের?” তিনি পুলিশকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “কেউ বাঁচাবে না। টালা থানার ওসিকে কেউ বাঁচায়নি। নারকেলডাঙার ওসি জেল খাটছে।” এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যাওয়ার কথাও বলেছেন রাজ‍্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

এ দিন সকাল থেকেই ‘নবান্ন অভিযান’-কে কেন্দ্র করে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করে। কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ আগেই যৌথ বৈঠক করে জানিয়ে দেয়, নবান্ন এবং কালীঘাট চত্বরে কোনও জমায়েত করা যাবে না। সেসব জায়গায় ভারতীয় ন‍্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে বলেও জানানো হয় পুলিশের তরফে। সেই অনুযায়ী শনিবার যে সমস্ত যায়গা থেকে নবান্ন পর্যন্ত পৌছানো সম্ভব সেসব রাস্তায় বড় ব‍্যারিকেড ও লোহার কন্টেনার বসানো হয়। প্রায় ৪টে পর্যন্ত বিক্ষোভ প্রদর্শনের পর কর্মসূচি প্রত্যাহার করার কথা ঘোষণা করেন শুভেন্দু অধিকারী।


Share