Pahalgam Attack Mastermind Eliminated

জম্মু ও কাশ্মীরে ভারতীয় সেনার ‘অপারেশন মহাদেব’, গুলিতে নিকেশ পহেলগাঁও হামলার মাস্টারমাইন্ড-সহ তিন লস্কর জঙ্গি

নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিকেশ পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী সুলেইমান ওরফে হাসিম মুসা। পাশাপাশি আরও দু’জন জঙ্গিকে নিকেশ কারা হয়েছে।

সেনাবাহিনীর গুলিতে নিকেশ সুলেইমান ওরফে হাসিম মুসা
নিজস্ব সংবাদদাতা: শ্রীনগর
  • শেষ আপডেট:২৮ জুলাই ২০২৫ ০৫:০০

পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার তিন মাস ছ’দিন পার। অবশেষে মূলচক্রী-সহ তিন লস্কর জঙ্গিকে নিকেশ করল নিরাপত্তা বাহিনী। গত ২২ এপ্রিল পাহেলগাঁওয়ে ধর্ম নিশ্চিত করে ২৬ জন নিরীহ মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। নিকেশ তিন জঙ্গির নাম সুলেইমান ওরফে হাসিম মুসা, ইয়াসিন এবং আবু হামজা। এর মধ্যে সুলেইমান ওরফে হাসিম মুসা ২২ এপ্রিলের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মূলচক্রী ছিল বলেই খবর। নিহতেরা সকলেই পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে সে রাজ‍্যের পুলিশ।

সুলেইমান ওরফে হাসিম মুসা লস্কর-ই-তৈয়বা (এলইটি)-র একজন সক্রিয় সদস্য। পাশাপাশি সুলেইমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (SSG)-এর প্রাক্তন কমান্ডো হিসেবে কর্মরত ছিল বলে জানা গিয়েছে। পরে সে হাফিজ সইয়দের জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা-তে যোগ দেয়। এর পরে ভারতে বিভিন্ন জঙ্গি কার্যকলাপে অংশ নেয় সে।

এ দিন ভারতীয় সেনা, সিআরপিএফ এবং জম্মু ও কাশ্মী পুলিশের তরফে যৌথ অভিযান ‘অপারেশন মহাদেব’ শুরু করা হয়। বাহিনী দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও ইলেকট্রনিক নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছিল। এর পরেই দেশের গোয়েন্দারা একটি চীনা ‘আল্ট্রা রেডিও কমিউনিকেশন’ ব্যবহারের সংকেত পাওয়ার পরই এই অভিযান চালানো হয়। জানা গিয়েছে, লস্কর-ই-তৈয়বার অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে সাংকেতিক বার্তা আদানপ্রদানে এই চীনা রেডিও ব্যবহার করা হয়েছে। যাকে ২০১৬ সালে একে ডব্লিউওয়াই এসএমএস নামেও চিহ্নিত করা হয়েছিল। গোয়েন্দা মারফত খবর পেয়ে শ্রীনগরের দাচিগাম জঙ্গলে সকাল থেকে চিরুনি তল্লাশি শুরু করে সেনাবাহিনী। সেখানেই অভিযান চালিয়ে পহেলগাঁও হামলার মূলচক্রী সুলেমান ওরফে হাসিম মুসা-সহ আরও দুই জঙ্গিকে খুঁজে বের করে নিকেশ করা হয়।

গোয়েন্দা সুত্রের খবর, সুলেইমান ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতে অনুপ্রবেশ করে। দক্ষিণ কাশ্মীরে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ শুরু করে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে সে একটি হামলার নেতৃত্ব দেয়। যেখানে একটি বেসরকারি ট‍ানেল নির্মাণকারী সংস্থার কর্মীদের ক্যাম্পে গুলি চালিয়ে সাত জন নিরীহ শ্রমিককে হত্যা করা হয়। পাশাপাশি সুলেইমান বারামুল্লায় আরও একটি হামলায় সঙ্গে জড়িত ছিল, যেখানে গুলির লড়াইয়ে চার জন নিরাপত্তা কর্মী  বীরগতি হন। সূত্রের খবর, সুলেইমান মোট ছ’টি জঙ্গি হামলার সঙ্গে যুক্ত ছিল। পাহেলগাঁও হামলার পরে হাসিম মুসা-কে খোঁজা হচ্ছিল। উল্লেখ্য, পাহেলগাঁও হামলার পরে জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ সুলেমানের মাথার দাম ২০ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছিল।

সোমবারের সকালে ‘অপারেশন মহাদেব’-এর অভিযানে ঘটনাস্থল থেকে কারবাইন-সহ একে-৪৭ রাইফেল, ১৭টি রাইফেল গ্রেনেড এবং অন্যান্য আগ্নেআস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর অনুমান, এই জঙ্গিরা জম্মু ও কাশ্মীরে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছিল।


Share