India kicks off offshore drilling near Andaman Nicobar

আন্দামান সাগরে খনিজ তেলের বিপুল সঞ্চয় থাকার ইঙ্গিত পেয়েছে ভারত

আন্দামানের কাছে সমুদ্রের গভীরে ১ হাজার ১৬০ কোটি ব্যারেল অপরিশোধিত তেলের ভান্ডার লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। খনিজ তেলের জন্য আর ওপেকভুক্ত দেশ বা রাশিয়ার মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না বলে আশায় বুক বাঁধছে দেশ।

তৈল উত্তোলনের প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা
  • শেষ আপডেট:০৩ জুলাই ২০২৫ ১২:৫৭

আন্দামান সাগরে সেই খনিজ তেলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছিলেন দেশের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিংহ পুরী। সেই দাবি মেনে নিয়ে আন্দামান সাগরে খনিজ তেল উত্তোলনের উদ্যোগ নিচ্ছে ওএনজিসি। 

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেছিলেন, অতলান্তিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত দেশ গায়ানার মতো আন্দামান সাগরে একটি বৃহৎ তেলের খনি আবিষ্কারের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছে ভারত।১ হাজার ১৬০ কোটি ব্যারেলের অপরিশোধিত তেলের ভান্ডার সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকার সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছেন পুরী। ইতিমধ্যেই আন্দামান-নিকোবরের কাছে অফশোর ড্রিলিং শুরু করেছে ওএনজিসি। 

আপাতত পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের তিনটি জায়গায় ৫৩.৩ লক্ষ টন (৩.৮ কোটি ব্যারেল) তেল মজুতের ভান্ডার আছে ভারতের। সেগুলি হল কর্নাটকের মেঙ্গালুরুতে ১৫ কোটি টন, পাদুরে ২৫ কোটি টন এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনমে ১৩.৩ কোটি টন। এ ছা়ড়া অসম, গুজরাত, রাজস্থান, মুম্বইয়ে তেলের খনিগুলি উৎপাদনক্ষম।

২০২৪ অর্থবর্ষে দেশে মোট ৫৪১টি তেলের কূপ খনন করা হয়েছে। গত ৩৪ বছরে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। এর মধ্যে ১০৩টি অনুসন্ধান চালানোর জন্য। সব ক’টির জন্য ৩৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে তেল মন্ত্রক। তেল অনুসন্ধান পর্বের খরচের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বেশি।

আন্দামানে অনুসন্ধান সফল হলে ভারতে তেল আমদানি উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস হতে পারে, এমনটাই আশা প্রকাশ করেছে সংশ্লিষ্ট মহল। অর্থনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করতে পারে এটি। জ্বালানির চাহিদা মেটাতে অপরিশোধিত তেল আমদানির উপর ব্যাপক ভাবে নির্ভরশীল দেশ।

বিশ্বের তেল আমদানিকারী দেশগুলির মধ্যে দেশ তৃতীয় বৃহত্তম। চলতি বছরের মে মাসে দৈনিক ৫১ লক্ষ ব্যারেল তেল কেনা হয়েছে। এর সিংহভাগই এসেছে রাশিয়া থেকে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ ছিল এক শতাংশেরও কম। কিন্তু, বর্তমানে তা বেড়ে ৪০ থেকে ৪৪ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

তাই ভবিষ্যতের কথা ভেবে তেলের ব্যাপারে আত্মনির্ভর হতে চাইছে দেশের সরকার। তেলের অনুসন্ধান পর্ব এখন আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে সম্প্রসারিত হয়েছে। অয়েল ইন্ডিয়া এবং ওএনজিসির মতো সংস্থাগুলি নতুন মজুতের সন্ধানে জরিপ এবং খোঁড়াখুঁড়ির কাজ আরম্ভ করেছে।


Share