Syrian Man Arrested

গাজাবাসীদের সাহায্যের নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা তুলে ফুর্তি! গুজরাতে ধৃত সিরিয়ার যুবক, এসেছিল কলকাতাতেও

ধৃতের নাম মেঘাত আল-আজাহার। সে সিরিয়ার বাসিন্দা। বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

ধৃতের নাম মেঘাত আল-আজাহার।
নিজস্ব সংবাদদাতা, আহমেদাবাদ
  • শেষ আপডেট:২৪ আগস্ট ২০২৫ ০১:৫২

যুদ্ধবিধস্ত গাজার বাসিন্দাদের জন্য সাহায্যের নাম করে তোলা হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা। সেই চাঁদার টাকা সেখানে পৌঁছোনো তো দূর অস্ত, সংগৃহীত টাকা দিয়ে বিলাসবহুল জীবনযাপন করত যুবক। অবশেষে গুজরাত পুলিশের হাতে ধরা পড়ল যুবক। ধৃত যুবক সিরিয়ার বাসিন্দা। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, দু’সপ্তাহ আগে কলকাতাতেও এসে থেকেছিল তাঁরা।

ধৃতের নাম মেঘাত আল-আজহার। আজহারকে গুজরাতের এলিস ব্রিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সিরিয়ার আরও তিন নাগরিক জাকারিয়া হাইথাম আলজার, আহমেদ আলহাবাস এবং ইউসুফ আল-আজহার ওই এলাকার একটি হোটেলে ছিলেন। সেখান থেকেই মেঘাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মেঘাত গ্রেফতার হতেই তাঁর তিন সঙ্গী গা ঢাকা দিয়েছেন। এই তিনজনের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস জারি করা হয়েছে।

আহমেদাবাদের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) শরদ সিঙ্ঘল জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন ধরেই পুলিশের কাছে খবর আসছিল গাজাবাসীদের সাহায্যের নাম করে টাকা তোলা হচ্ছিল। কিন্তু কারা টাকা তুলছিল, তা স্পষ্ট ছিল না পুলিশের কাছে। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারা যায়, এলিস ব্রিজ এলাকার কয়েক জন যুবক টাকা তুলছিল। শুরু হয় পুলিশের নজরদারি। গোপন সূত্রে তারা জানতে পারে, যারা টাকা তুলছিল তারা কেউ ভারতীয় নাগরিক নয়। আদতে তারা সিরিয়ার নাগরিক। এর পরেই এলিস ব্রিজ এলাকার হোটেল থেকে আজাহারকে গ্রেফতার করে। তবে তার বাকি তিন সঙ্গীর খোঁজ মেলেনি। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বিপুল অঙ্কের টাকা তোলা হয়েছে। সেই টাকা দিয়ে অভিযুক্তেরা বিলাসবহুল জীবনযাপন করত। তারা জানতে পেরেছে, সিরিয়ার পর্যটক ভিসায় গত ২২ জুলাই ভারতে এসেছে। কলকাতা বিমানবন্দরে এসে বেশ কিছু দিন কলকাতার হোটেলে ছিল। সেখান থেকে গত ২ অগস্ট গুজরাতের আহমেদাবাদে আসে। যুগ্ম কমিশনার বলেন, “অভিযুক্তেরা স্থানীয় মসজিদে গিয়ে টাকা আদায় করছিল। মূলত গাজার ছবি দেখিয়ে সহানুভূতি আদায় করে টাকা আদায় করত। ধরা পড়ার পরেও তারা দাবি করছে, গাজার বাসিন্দাদের জন্য চাঁদা তোলা হচ্ছিল”। যদিও সেই সংক্রান্ত কোনও প্রমাণ তারা দেখাতে পারেনি বলে দাবি পুলিশের।

সিরিয়ার নাগরিক ভারতে কেন এসেছে, কলকাতায় কেন গিয়েছিল- এই সব প্রশ্ন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। চাঁদা তোলার নাম করে রেকি করছিল তারা? এ-ও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছ থেকে সাড়ে তিন হাজার আমেরিকান ডলার এবং ২৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। আহমেদাবাদ পুলিশের সঙ্গে গুজরাতের সন্ত্রাস দমন শাখা এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ একযোগে তদন্ত শুরু করেছে।


Share