Chandan Mishra Murder Case

পটনার হাসপাতালে গুলি করে হত্যাকান্ডে কলকাতার আনন্দপুর থেকে আটক পাঁচ জন, সব মিলিয়ে পুলিশের জালে ১১ জন

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজে একটি গাড়ি কলকাতা অভিমুখে আসতে দেখা গিয়েছিল। সেই গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরে আনন্দপুর, ভাঙড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ।

আনন্দপুরের এই গেস্ট হাউসের বাইরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পুলিশ।
নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১৯ জুলাই ২০২৫ ১১:৩৮

বিহারের পটনায় হাসপাতালের আইসিইউয়ে ঢুকে চন্দন মিশ্রকে গুলি চালানোর ঘটনায় কলকাতা থেকে আরও পাঁচ জনকে ধরল পুলিশ। বলে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে আনন্দপুরের একটি গেস্ট হাউস থেকে তাঁদের আটক করা হয়েছে। এ দিন সকালে নিউটাউন থেকে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই নিয়ে পটনার হাসপাতালে গুলি করে হত্যাকাণ্ডে ধৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১১ জন।

জানা গিয়েছে, ঘটনার দিনের সিসিটিভি ফুটেজে একটি গাড়ি কলকাতা অভিমুখে আসতে দেখা গিয়েছিল। সেই গাড়ির নম্বরের সূত্র ধরে আনন্দপুর, ভাঙড়-সহ বিভিন্ন এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিল পুলিশ। শনিবার রাতে আনন্দপুরের এক গেস্ট হাউস থেকে চন্দন মিশ্রকে হত্যাকাণ্ডে পাঁচ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নাম হরিশ কুমার, সচিন সিংহ, তৌসিফ এবং ইউনুস খান। গতকাল শুক্রবারই তাঁরা আনন্দপুরের ওই গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন এক মহিলাও। এখনও তাঁর নাম জানা যায়নি।

এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘সাড়ে ৭টা-৮টা নাগাদ দেখি পুলিশে পুলিশে এলাকা ছেয়ে গিয়েছে। এর কিছু ক্ষণ পর একটি অ্যাম্বুলেন্স আসে। উপর থেকে স্টেচারে শুইয়ে এক জনকে নামানো হয়। তিনি বেঁচে ছিলেন না মারা গিয়েছেন বোঝা যায়নি। পুলিশ প্রায় ঘণ্টাখানেকের মতো ছিল। তার মধ্যেই গোটা ঘটনাটি ঘটে যায়।’’

প্রসঙ্গত, শনিবার ভোরেই কলকাতার নিউটাউনের একটি আবাসন থেকে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোরে পটনা পুলিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ) যৌথ ভাবে নিউটাউনে অভিযান চালায়। ধরা পড়ে পাঁচ অভিযুক্ত। ধৃত পাঁচ জনের মধ্যে চার জনই খুনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেই গ্রেফতারির ১২ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই আরও পাঁচ জন ধরা পড়ল।


Share