Forced Conversion

অরুণাচলের বনবাসী হিন্দুদের লাগাতার ধর্মান্তরকরণ! স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি অখিল ভারতীয় বনবাসী আশ্রমের

অরুণাচল প্রদেশে হিন্দু জনজাতিদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরকরণ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠক থেকে এমনই দাবি অখিল ভারতীয় বনবাসী কল্যাণ আশ্রমের। এ রাজ্যের প্রসঙ্গ টেনেও তাঁরা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের দাবি জানান তাঁরা।

কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকে সত্যেন্দ্র সিংহ।
এখন কলকাতা ডেস্ক
কলকাতা - নিজস্ব চিত্র।
  • শেষ আপডেট:১১ মার্চ ২০২৫ ১২:০০

অরুণাচল প্রদেশে হিন্দু বনবাসীদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরকরণ করা হচ্ছে। মঙ্গলবার এমনই অভিযোগ করল অখিল ভারতীয় বনবাসী কল্যাণ আশ্রম অখিল ভারতীয় বনবাসী কল্যাণ আশ্রম। সংগঠনের সভাপতি সত্যেন্দ্র সিংহের দাবি, ১৫ লক্ষ জনসংখ্যার রাজ্যে গত এক দশক ধরে হিন্দু বনবাসীদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরকরণ করা হচ্ছে। তাঁদের প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। এমনকি ভয় দেখিয়েও খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।? 

২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী অরুণাচল প্রদেশের জনসংখ্যা ১৫ লক্ষ। ১৯৭৮ পরিসংখ্যানে ওই রাজ্যে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ছিল এক শতাংশ। অভিযোগ, ১৯৭৮ সালের অরুণাচল সরকার ধর্মীয় স্বাধীনতা অধিনিয়ম লাগু না হওয়ার কারণে খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১ শতাংশ। হিন্দুদের ধরে ধরে ধর্মান্তরিত করা হয়েছে বলেই এই বৃদ্ধি হয়েছে মত তাঁদের। সভাপতি সত্যেন্দ্র সিংহ বলেন, “স্থানীয় চার্চ ওই রাজ্যের গরিব আদিবাসী সম্প্রদায়কে নিশানা করছে। তাঁরা সবাই হিন্দু। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের ধর্মান্তর করছে। এমনকি ধর্মান্তরিত না হলে তাঁদের ভয় দেখানো হচ্ছে। এই সংস্কৃতি চলতে থাকলে এক দিন তাঁরা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।”? 

তাঁর অভিযোগ, অরুণাচল প্রদেশ তৈরি হওয়ার পর থেকে এই এই ব্যবস্থা চলছে। ১৯৭৮ সালে জনতা সরকার থাকার সময় বিধানসভায় একটি বিল আনা হয়েছিল। বিলের নাম অরুণাচল সরকার ধর্মীয় স্বাধীনতা অধিনিয়ম। তা এখনও কার্যকর যায়নি। অভিযোগ, ওই আইন লাগু না হওয়ার সুযোগ নিয়ে অরুণাচলে থাকা চার্চগুলি এই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। গুয়াহাটি হাই কোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও আইন বলবৎ করছে না। এতে হিন্দু জনজাতিরা বিপদে পড়ছে। সরকার সবকিছু জেনেও নীরব রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলন থেকে তিনি এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন।? 

এ রাজ্যেও দুই ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া এবং পূর্ব বর্ধমানের হিন্দু থেকে খ্রিষ্টান ধর্মে ধর্মান্তরকরণ অভিযোগ এসেছে। সেই প্রসঙ্গে সংগঠনের সভাপতি সত্যেন্দ্র সিংহ বলেন, “এটা খুব চিন্তার বিষয়। আমরা মূলত আদিবাসী এবং বনবাসীদের নিয়েই কাজ করি। বিষয়টির ওপর নজর রাখা হয়েছে।” তাঁর মত, “জাতি বাঁচলেই জনজাতি বাঁচবে। তাই কেন্দ্রের কাছে আমরা আবেদন করব যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”? 


Share    

হাইলাইটস