Special Intesive Revition

এ বার খসড়া তালিকা নিয়ে হুগলি জেলাশাসক দফতরে সর্বদলীয় বৈঠক, জেলাজুড়ে ৩ লক্ষ ১৮ হাজার নাম বাদ

বৈঠক শেষে সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের হাতে হুগলির ১৮টি বিধানসভার খসড়া তালিকার সফট কপি পেন ড্রাইভে তুলে দেওয়া হয়। চুঁচুড়া, চন্দননগর, সপ্তগ্রাম ও গোঘাট বিধানসভার ভোটার তালিকার হার্ডকপি তুলে দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক তরুন ভট্টাচার্য্য।

হুগলি জেলার খসড়া তালিকার হার্ডকপি।
নিজস্ব সংবাদদাতা, হুগলি
  • শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:৫৮

এসআইআর শেষ হয়ে মঙ্গলবার খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। জেলা ভিত্তিক আলাদা আলাদা তালিকা দিয়েছে কমিশন। এ বার এই তালিকা নিয়ে হুগলি জেলাশাসক দফতরে সর্বদলীয় বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি তৃণমূল, সিপিআইএম, ফরয়ার্ড ব্লক, কংগ্রেস - সহ বিভিন্ন দলের জেলার নেতৃত্ব। 

বৈঠক শেষে সকল রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বদের হাতে হুগলির ১৮টি বিধানসভার খসড়া তালিকার সফট কপি পেন ড্রাইভে তুলে দেওয়া হয়। চুঁচুড়া, চন্দননগর, সপ্তগ্রাম ও গোঘাট বিধানসভার ভোটার তালিকার হার্ডকপি তুলে দেন অতিরিক্ত জেলাশাসক তরুন ভট্টাচার্য্য। বাকি বিধানসভার তালিকার হার্ড কপি এখনও ছাপানো হয়নি। তাই পরে দেওয়া হবে।

হুগলির জেলা শাসকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হুগলী জেলায় ১৮টি বিধানসভায় মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার নাম বাদ গিয়েছে। তার মধ্যে উত্তরপাড়া বিধানসভায় ২৭ হাজার ৫৭৯ টি নাম বাদ গেছে। শ্রীরামপুর বিধানসভায় ৩৭ হাজার ৯১৫টি, চাঁপদানীতে ৩৫ হাজার ৯১৩টি, সিঙ্গুরে ৯ হাজার ৪০৩টি, চন্দননগরে ২৫ হাজার ৪৭৮টি, চুঁচুড়ায় ২৭ হাজার ৩৮৬টি।

পাশাপাশি বলাগড়ে ১৩ হাজার ৭২৬টি, পান্ডুয়া বিধানসভায় ১৬ হাজার ৪০৩টি, সপ্তগ্রামে ২০ হাজার ৭৮১টি, চন্ডীতলায় ১৮ হজার ৪৮৩টি, জাঙ্গিপারায় ১১ হাজার ৭৩৩টি, হরিপালে ১০ হাজার ৪৯টি, ধনিয়াখালিতে ১৩ হাজার ৬৮০টি, তারকেশ্বরে ১০ হাজার ৬৮০টি, পুরশুড়ায় ৮ হাজার ৬২৪টি, আরামবাগে ১১ হাজার ৩২০টি, গোঘাটে ৭ হাজার ৭৭টি, থানাকুলে ১২ হাজার ৬২২ টি নাম বাদ গেছে। সবথেকে কম নাম গেছে গোঘাট বিধানসভায়।

বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, “ যতক্ষন আমরা বুথ স্থরে রিপোর্ট না পাচ্ছি, ততক্ষন আমরা সন্তষ্ট হতে পারছি না। বৈধ ভোটারদের নাম থাকা যতটা জরুরী ঠিক ততটাই অবৈধ ভোটার চিহ্নিত করে বাদ দেওয়া জরুরী। শুনানী নিরপেক্ষ জায়গায় হতে হবে। তবে আরও নাম বাদ যাওয়ার কথা ছিল।“ 

তৃণমূল হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক বিকাশ রায় বলেন, “আমরা বেশ কিছু সমস্যার কথা জানিয়েছি। হেয়ারিং ভেন্যু গুলো যাতে নুন্যতম সাত দিন আগে জানানো হয়। প্রত্যেক ভোটার যাতে জানতে পারে যে কোন কোন নথি তাদের হেয়ারিং-এ নিয়ে যেতে হবে।“ 

সিপিআইএম রাজ্য কমিটি সদস্য মনোদীপ ঘোষ বলেন, “সবে খসড়া তালিকা বেড়িয়েছে,এটা নিয়ে চর্চা করতে হবে,তারপর বোঝা যাবে কোথাও গলদ আছে কিনা। আগামীকাল বা পরশু পুরো তালিকার হার্ড কপি হাতে পাওয়া যাবে।“


Share