Road Accident

বাবাকে খুঁজতে বেরিয়ে আর হল না ফেরা, ডাম্পারের ধাক্কায় প্রাণ গেল ছেলের, মৃত আরও এক

ছাতনার ঝাঁটিপাহাড়ি আউটপোস্ট এলাকার তিলনা গ্রামে বাইক ও ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয় বুধন ও তাঁর সঙ্গী মডিরাম ঘোষালের। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও এক যুবক।

প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, পুরুলিয়া
  • শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ১১:২৪

পারিবারিক অশান্তিই বাধ্য করেছিল বাবাকে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যেতে। বাবাকে খুঁজতে গিয়ে প্রাণ গেল ছেলের। বাইকের সঙ্গে ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষের মুখে পড়ে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত ব্যক্তির নাম বুধন মণ্ডল। শুধু তিনিই নয় তার এক সঙ্গীরও দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার গুরুতর আহত হয়েছে আরও একজন। ঘটনাটি ঘটেছে ছাতনার ঝাঁটিপাহাড়ি আউটপোস্ট এলাকার তিলনা গ্রামে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কীভাবে এই ঘটনা ঘটলো তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

দলু মন্ডল পুরুলিয়ার সাঁতুড়ির ঘোড়ামুর্গা গ্রামের বাসিন্দা। পারিবারিক অশান্তির জেরে বুধবার রাতে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। দীর্ঘ সময় ধরে খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। তাই বাবাকে ছেলে বুধন মন্ডল খুঁজতে বের হন। দুই বন্ধু মডিরাম ঘোষাল আর বাপি ঘোষকে নিয়ে বাইকে বের হন তিনি। তাঁর আর বাবাকে নিয়ে বাড়ি ফেরা হল না!

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বাবার খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে বাঁকুড়া শালতোড়া রাজ্য সড়ক ধরে ছাতনার ঝাঁটিপাহাড়ি আউটপোস্ট এলাকার তিলনা গ্রামে পৌঁছে যান বুধন আর তাঁর দুই বন্ধু। শীতকালের রাত। চারপাশ নিস্তব্ধ। আচমকাই অন্ধকারের মধ্যে থেকে একটি ডাম্পার ধেয়ে আসে। বিকট শব্দে ভেঙে বাইক ছিটকে পড়ে রাস্তার ধারে। তিনজনই রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন।

স্থানীয়রা ঘটনাস্থলেছুটে আসেন। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। রক্তাক্ত অবস্থায় তিন জনকে প্রথমে ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা বুধন মণ্ডল এবং মডিরাম ঘোষালকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বাপি ঘোষ।

ঘটনার খবর পৌঁছাতেই ঘোড়ামুর্গা গ্রামে নেবে আসে শোকের ছায়া। ভাই সদানন্দ মণ্ডল বলেন, “বাড়ির ঝামেলার জন্য বাবা বেরিয়ে গিয়েছিল। দাদা, বাবাকে খুঁজে আনতেই গিয়েছিল, কিন্তু কেউ ভাবতেই পারিনি আর ফিরবে না।” ঘটনায় প্রতিবেশীরাও যথেষ্ট শোকগ্রস্ত। কেউ কেউ বলেন, “বাবাকে বাঁচাতে বেরিয়েছিল ছেলেটা। শেষ পর্যন্ত ছেলেটাকেই হারাতে হল।”


Share