Fire Incident

পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, পুড়ে ছাই ১২টি দোকান, প্রশাসন ও পুরসভা দায়িত্ব নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। পরে আরও দু’টি দমকলের ইঞ্জিন আসায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। পুরুলিয়া দমকল বিভাগ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি প্যাকেট হাউসের দোকান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকল কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান।

পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে ভয়াবহ আগুন
নিজস্ব সংবাদদাতা, পুরুলিয়া
  • শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৪:১২

রবিবার গভীর রাতে পুরুলিয়া শহরের বাসস্ট্যান্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় অন্তত ১২টি দোকান। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনায় মুহুর্তের মধ্যে একের পর এক দোকান ও ফলের ঠেলাগাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকলের তিনটি ইঞ্জিন প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। অভিযোগ, বাসস্ট্যান্ডের পিছনের বরাবাজারগামী বাস ছাড়ার এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বেআইনিভাবে এই দোকানগুলি চলছিল।

বাসস্ট্যান্ড চত্বরে পুরুলিয়া পুরসভার উদ্যোগে একটি মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মিত হলেও এখনও পর্যন্ত দোকানঘরগুলি বণ্টন করা হয়নি বলে অভিযোগ। তার জেরেই আগের মতোই বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঝুপড়ি, কংক্রিট ও টিন দিয়ে তৈরি অস্থায়ী দোকান যত্রতত্র গড়ে উঠেছিল। যদিও পুরসভা আগেই জানিয়েছিল, বাসস্ট্যান্ড দখল করে কোনও দোকান চলতে দেওয়া হবে না। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর এই বেআইনি দোকানগুলি কার মদতে বসেছিল, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে।

পুরুলিয়ার পুরপ্রধান নবেন্দু মাহালি বলেন, “আমি বাসস্ট্যান্ডে যাব। কোথা থেকে কি হয়েছে বিষয়টি দেখা হচ্ছে। প্রয়োজনে আমরা আরও একটি মার্কেট কমপ্লেক্স গড়ার প্রস্তাব দেব।” এদিকে পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের ভিতরে নির্মিত পুরসভার মার্কেট কমপ্লেক্সের দোকান বণ্টন নিয়ে সোমবার পুরসভায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ডটি পুর শহরের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে বাসস্ট্যান্ডের মালিকানা প্রশাসনের হাতে থাকলেও এর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে পুরুলিয়া পুরসভা। 

রবিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ হঠাৎই বাসস্ট্যান্ডের পিছন দিক আগুনের শিখা জ্বলে ওঠে। পাশাপাশি একের পর এক দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে এলাকাজুড়ে চেঁচামেচি শুরু হয়। একাধিক দোকান ও ফলের ঠেলাগাড়ি আগুনে পুড়ে যায়। পাশেই দমকল কেন্দ্র থাকায় দ্রুত একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীদের হিমশিম খেতে হয়। দমকল কেন্দ্র কাছেই থাকায় দ্রুত একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছায়, তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলকর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। পরে আরও দু’টি দমকলের ইঞ্জিন আসায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়। পুরুলিয়া দমকল বিভাগ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি প্যাকেট হাউসের দোকান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। দমকল কর্মীদের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও উদ্ধারকাজে হাত লাগান।

ঘটনার পর গভীর রাত পর্যন্ত বাসস্ট্যান্ডে উপস্থিত থেকে পরিস্থিতির উপর নজরদারি করেন পুরুলিয়া পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও বাসস্ট্যান্ড স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য বিভাসরঞ্জন দাস। তিনি জানান, আগুনের ভয়াবহতা ছিল ব্যাপক, তবে দমকলের দ্রুত তৎপরতায় বড়সড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়েছে। তাঁর কথায়, প্রায় ১২টি দোকান সম্পূর্ণভাবে পুড়ে গেছে। দমকল বিভাগ ও পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।


Share