Murder

মানসিক অবসাদেই কি নৃশংসতা? স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মহত্যা স্বামীর

বাঁকুড়ার আশুরালি গ্রামে স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী। পুলিশের অনুমান, শুক্রবার রাতে ধারালো বঁটি দিয়ে স্ত্রী মুক্তা মণ্ডলকে খুন করার পর চিলেকোঠার সিঁড়ির কাছে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন অলোক মণ্ডল।

প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়া
  • শেষ আপডেট: ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:৩৩

কুড়ায় স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী স্বামী। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জয়পুর থানার আশুরালি গ্রামে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ধারালো বঁটি দিয়ে স্ত্রীকে হত্যার পর নিজেও আত্মহত্যা করেন ব্যক্তি। শনিবার সকালে দম্পতির দেহ উদ্ধার করে জয়পুর থানার পুলিশ। মৃতদের নাম অলোক মণ্ডল ও মুক্তা মণ্ডল। ঘটনার নেপথ্যে কি শুধুই দাম্পত্য কলহ নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা দেখছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই মেয়ের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে আশুরালি গ্রামে একসঙ্গেই থাকতেন অলোক ও মুক্তা মণ্ডল। কৃষক অলোক বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন। তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। শুক্রবার রাতে স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে ছিলেন দম্পতি। শনিবার অনেক বেলা পর্যন্ত প্রতিবেশীরা অলোকদের বাড়ির দরজা ভিতর থেকে বন্ধ অবস্থায় দেখেন। কিন্তু শনিবার দুপুর পর্যন্ত দরজা না খোলায় সন্দেহ তৈরি হয় প্রতিবেশীদের। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাঁরা দেখতে পান মুক্তার দেহ মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। পাশে পড়েছিল একটি ধারালো বঁটি। মাথা ও কপালে একাধিক আঘাতের চিহ্ন চোখে পড়ে স্থানীয়দের।

পরেই আরও একটি বিভীষিকা! মুক্তার দেহ উদ্ধারের পরেই অলোকের খোঁজ শুরু করেন প্রতিবেশীরা। অলোকের কোনো সাড়া না মেলায় সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়। কিছুক্ষণ পরে দেখা যায়, ঘরের চিলেকোঠায় ওঠার সিঁড়ির কাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছেন অলোক। প্রতিবেশীরা দ্রুত জয়পুর থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। দু’জনের দেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ দেহ দুটিকে ময়নাতদন্তে পাঠায়।


Share