Mamdani got campaign funds from Hamas

হামাসের সংস্থার টাকা নিয়ে নির্বাচনের প্রচার চালিয়েছেন ভারত বিরোধী নিউইয়র্কের সদ্য নির্বাচিত মেয়র জোহরান মামদানি

আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের অর্থপুষ্ট ইউনিটি অ্যান্ড জাস্টিস ফান্ড পিএসি নিউইয়র্কে জোহরানপন্থীদের সবচেয়ে বেশি আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। সরকারি তথ্যই বলছে, ইউনিটি অ্যান্ড জাস্টিস ফান্ড পিএসি জোহরান মামদানির প্রচারে ১২০,০০০ ডলার (আনুমানিক ২৫ কোটি টাকা) সাহায্য করেছে।

নিউইয়র্কে লিন্ডা সারসুর সঙ্গে মামদানি।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৫ ০২:৩৫

চোরাপথে নির্বাচনী প্রচারের জন্য হামাস জঙ্গিদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন নিউইয়র্কের নতুন মুসলিম মেয়র জোহরান মামদানি। প্যালেস্তিনীয়-মার্কিন নারীকর্মী লিন্ডা সারসুর কট্টর প্যালেস্তাইনপন্থী ও ইহুদি বিরোধী মামদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের কাছ থেকে প্রচারের খরচ জোগাড় করেছেন নিউইয়র্কের মেয়র জোহরান মামদানি। 

প্রসঙ্গত, হামাসের সঙ্গে যোগ থাকার অভিযোগে এই সংস্থার বিরুদ্ধে এখনও তদন্ত চালাচ্ছে আমেরিকার কংগ্রেস। এমনই বিস্ফোরক তথ্য উঠে আসায় মামদানির নির্বাচনে জেতার পরে প্রবল বিতর্ক শুরু হয়েছে।

লিন্ডা সারসুর অভিযোগ, তিনি এবং হামাসের সঙ্গে যুক্ত অলাভজনক সংস্থা (স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা) মামদানির রাজনৈতিক উত্থানে সাহায্য করেছে। আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশনসের অর্থপুষ্ট ইউনিটি অ্যান্ড জাস্টিস ফান্ড পিএসি নিউইয়র্কে জোহরানপন্থীদের সবচেয়ে বেশি আর্থিক সাহায্য দিয়েছে। সরকারি তথ্যই বলছে, ইউনিটি অ্যান্ড জাস্টিস ফান্ড পিএসি জোহরান মামদানির প্রচারে ১২০,০০০ ডলার (আনুমানিক ২৫ কোটি টাকা) সাহায্য করেছে।

ডেমোক্র্যাট প্রার্থী মামদানির প্রচারের তহবিল সংগ্রহে জঙ্গিদের টাকা ব্যবহারের বিষয়টি আমেরিকার রাজনীতির জন্য রীতিমতো চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মামদানি প্রকাশ্যে হামাসের অস্ত্র সংবরণের বিরোধী ছিলেন এবং তিনি ইজরায়েলের বিরুদ্ধে নিয়মিত প্রচার চালিয়ে গিয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে যুদ্ধাপরাধী বলে তাঁকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে আসছেন।

অন্য দিকে, কট্টর ভারত বিরোধিতা এবং হিন্দুধর্মের কড়া সমালোচক নিউইয়র্কের নতুন মেয়র মামদানি। ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোর নিয়মিত নিন্দা করা মামদানির অন্যতম কাজ।

মেয়র নির্বাচনের আগে থেকেই হিন্দু কথাবার্তার জন্য আলোচনার শীর্ষে ছিলেন তিনি। রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তাঁর বক্তব্য অনেক সময়ই সমস্ত সহ্যের সীমা পার করে যায় বলে বিশ্লেষকেরা মনে করেন।


Share