Youth Had Arrested in Alleged Connections to ISIS

এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির আড়ালে আইএসের জন‍্য বোমা তৈরি করত আশরফ দানিশ! হোটেলে বসে সন্ত্রাসবাদী নিয়োগ, বিস্ফোরক-সহ গ্রেফতার ১২ জন

সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ একটি জঙ্গি মডিউলের খোঁজ পায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারে, জঙ্গিদের আস্তানা অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগর। এর মধ্যেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে অভিযান চালায়। এনআইএ জানায়, সেখান থেকে উদ্ধার হয়ে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক।

ইসলামিক স্টেট জঙ্গি সন্দেহে ঝাড়খন্ড থেকে গ্রেফতার আশরফ দানিশ-সহ ১২ জন।
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাঁচী
  • শেষ আপডেট:২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১১:২৬

ঝাড়খন্ডের রাঁচীর ইসলামনগরের হোটেল থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমানে বিস্ফোরক। শুধু তা-ই নয় বেশ কিছু অস্ত্রও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ওই ঘরে থাকতেন আশরফ দানিশ নামে এক যুবক। অভিযোগ, এসএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতির আড়ালে ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের জন‍্য বোমা বানাতেন। আশহারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। 
সম্প্রতি দিল্লি পুলিশ একটি জঙ্গি মডিউলের খোঁজ পায়। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা জানতে পারে, জঙ্গিদের আস্তানা অন্ধ্রপ্রদেশের বিজয়নগর। এর মধ্যেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ) অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, মহারাষ্ট্র-সহ একাধিক রাজ্যে অভিযান চালায়। এনআইএ জানায়, সেখান থেকে উদ্ধার হয়ে অস্ত্র এবং বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক। এ ছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ইলেকট্রিক ডিভাইস। 
বেশ কিছু দিন আগে দিল্লির পুলিশ আফতাব কুরেশি নামে এক জনকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, এই আফতাবের থেকেই আশরফ দানিশের খোঁজ মেলে। এর পরেই ওই হোটেলের ১৫ নম্বর ঘরে দিল্লি পুলিশ এবং ঝাড়খণ্ডের জঙ্গিদমন শাখা যৌথ অভিযান চালায়। সেখান থেকেই আশহার দানিশকে গ্রেফতার করে। এর পাশাপাশি দানিশের ১১ জন সঙ্গীকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 
ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণে বোমা তৈরির মশলা বাজেয়াপ্ত করেছে বলে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ঘরে অ‍্যামোনিয়াম নাইট্রেট, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, নাইট্রিক অ্যাসিড, সোডিয়াম বাইকার্বোনেট, কপারের পাত এবং ক্রিস্টালিন পাউডার উদ্ধার হয়েছে। যা বোমা তৈরির উদ্দেশ্যে মজুত করা হয়েছিল বলে মনে করছে তদন্তকারীরা। পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই হোটেলের ঘরে বোমা তৈরি করার পরে সেগুলি ঠিকঠাক ভাবে ব্যবহারযোগ্য কি না তা সুবর্ণরেখা নদীতে তা পরীক্ষা করত আশরফ দানিশ এবং তার সঙ্গীরা। পুলিশ মনে করছে, সরকারি চাকরির পরীক্ষা প্রস্তুতির অজুহাতে আড়ালে জঙ্গি সংগঠনের হয়ে কাজ করত। কী ভাবে এই মডিউল কাজ করত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 
তদন্তকারীদের সুত্রের খবর, জঙ্গি সন্দেহে ধৃত আশরফ দানিশ শুধু বোমা তৈরীতে সীমাবদ্ধ ছিল, এমনটা নয়। অভিযোগ, রাঁচীর ওই হোটেলে বলে জঙ্গি সংগঠনের হয়ে যুবকদের নিয়োগ করত এই আশারফ দানিশ। জানা গিয়েছে, সমাজমাধ্যমে দানিশ পাকিস্তানের হ‍্যান্ডেলারের সঙ্গে যুক্ত হন। দানিশ বোকারোর বাসিন্দা বলে জানিয়ে পুলিশ। পরিবারের সদস্যেরা কোথায় থাকে, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 
পুলিশ সুত্রের আরও জানা গিয়েছে, দানিশের ঘরে সর্বক্ষণ অচেনা লোকজনের আনাগোনা লেগে থাকত। দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের ‘ব্লু-প্রিন্ট’ সাজানো হত। সম্প্রতি কয়েক জন বিজেপি নেতাদের ওপর হামলার ছকও করা হয়েছিল। কিন্তু কোনও ভাবে তা পিছিয়ে যায় বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। 
এ ছাড়াও আশহার দানিশ এবং তার সঙ্গীরা বোমা তৈরির উপকরণের তহবিলও সংগ্রহ করেছিল। এমনকি অনলাইন বিপণনী ওয়েবসাইট থেকে ছুরি এবং রাসায়নিক দ্রব্য অর্ডার করার প্রমাণ তদন্তকারীদের হাতে এসেছে। দানিশের মডিউলের অন‍্যন‍্য সদস্যেরা সুফিয়ান খান, মহম্মদ ইয়ামান, কামরান কুরেশি। ঝাড়খন্ড-সহ নানা রাজ্যের ধর্মীয় স্থানগুলিতে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল বলে জানতে পেরেছে তদন্তকারীরা। এই মডিউলের বাকি সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা।


Share