Accused Somehow fled From Police Station

পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে থানা থেকে পলায়ন মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তের, সাড়ে চার ঘন্টা তল্লাশির পরে পাকড়াও

অভিযুক্তের নাম চণ্ডী সরকার ওরফে টিঙ্কু। চন্ডী বালুরঘাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আত্রেয়ী কলোনীর বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর আগে ওই ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ কাফ সিরাফ পাচারের ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, চণ্ডীর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও অন্যান্য মামলাও রয়েছে।

থানা থেকে পালিয়ে গেল অভিযুক্ত।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট
  • শেষ আপডেট:২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৪৪

এ যেন যেন সিনেমা! ফিল্মি কায়দায় পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে থানা থেকে পালিয়ে গেল অভিযুক্ত। শুক্রবার দুপুরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযুক্তের খোঁজে বালুরঘাট এবং লাগোয়া এলাকায় সাড়ে চার ঘন্টা ধরে তল্লাশি অভিযান চলে। শেষমেশ অভিযুক্তকে ধরা গিয়েছে। ওই অভিযুক্তকে মাদক মামলায় গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল।

অভিযুক্তের নাম চণ্ডী সরকার ওরফে টিঙ্কু। চন্ডী বালুরঘাট পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আত্রেয়ী কলোনীর বাসিন্দা। বেশ কয়েক বছর আগে ওই ব্যক্তিকে নিষিদ্ধ কাফ সিরাফ পাচারের ঘটনায় পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রের খবর, চণ্ডীর বিরুদ্ধে একাধিক চুরি ও অন্যান্য মামলাও রয়েছে। সম্প্রতি জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে ফের অপরাধমূলক ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। চন্ডী সরকারের বিরুদ্ধে একটি পুরোনো মাদক মামলা এখনও আদালতে বিচারাধীন। সেই মামলার জন্য তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি চন্ডী বেশ কয়েকটি হাজিরার তারিখ এড়িয়ে যায়। তাই আদালত চন্ডীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। শুক্রবার দুপুরে তাঁকে গ্রেফতার করে বালুরঘাট থানায় আনা হয়েছিল।
পুলিশ সূত্রের খবর, লকআপে ঢোকানোর আগেই পুলিশ কর্মীকে ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। এর পরেই মাদক মামলায় অভিযুক্ত চন্ডী সরকার ওরফে টিঙ্কুর খোঁজে বালুরঘাট এবং তার আশপাশের এলাকায় পুলিশ চিরুনি তল্লাশি শুরু করে। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা তল্লাশির পর বালুরঘাট থানার পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে আর্য সমিতি এলাকায় অভিযান চালায়। ওই এলাকায় গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত চন্ডী সরকার ওরফে টিঙ্কু। সেখান থেকেই পাকড়াও করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি সপ্তাহের বুধবার ফালাকাটায় মাদক মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল মমতাজ সুলতানা নামে এক অভিযুক্তকে। সেই সময় কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ারের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল মমতাজ। এ ক্ষেত্রেও অনুরূপ ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে। কী ভাবে থানার মধ্য থেকে পুলিশি নজরদারি এড়িয়ে পালিয়ে গেল অভিযুক্ত, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিষয়টি নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল বলেন, “একজন অভিযুক্ত পালিয়ে গিয়েছিল। পরে সে ধরা পড়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সমস্ত প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে।”


Share