Goalpokhor Shootout

গোয়ালপোখরে পুলিশের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় ধৃত সজ্জাকের আরও সঙ্গী, ডালখোলা থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে

গত বুধবার গোয়ালপোখরে পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে সাজ্জাক আলম নামে এক খুনের আসামি আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন। পরে পুলিশের গুলিতে নিকেশ হয়। সেই ঘটনায় ডালখোলা থেকে আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

(বাঁ দিকে) পুলিশের উপর হামলাকারী সাজ্জাক আলম।
এখন কলকাতা ডেস্ক
ইসলামপুর -নিজস্ব চিত্র
  • শেষ আপডেট:২৫ জানুয়ারি ২০২৫ ১২:০৬

উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরে পুলিশের ওপর গুলি চালানোর ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিহার সীমান্ত এলাকা থেকে হবিবুর রহমান নামের এক যুবক ধরা পড়েছেন। গোয়ালপোখরকাণ্ডের পর বেশ কিছু দিন ওই যুবক পুলিশের আতস কাচের নিচে ছিল। বৃহস্পতিবার তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। আদালত অভিযুক্তকে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।? 

গোয়ালপোখরে পুলিশের উপর গুলি চালিয়ে আদালত চত্বর থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন খুনের আসামি সাজ্জাক আলম। দু’জন পুলিশকর্মী তাঁর গুলিতে জখম হয়েছেন। ঘটনার দু’দিন পরেই সাজ্জাককে চোপড়ার বাংলাদেশ সীমান্তে গুলি করে মারে পুলিশ। পুলিশের দাবি, সাজ্জাক পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতেই পাল্টা ‘এনকাউন্টারে’ তাঁর মৃত্যু হয়। এর পর ওই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সাজ্জাকের সহযোগী আব্দুল হোসেনকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। তার পর বৃহস্পতিবার আরও এক সঙ্গীকে ধরা হল।? 

জানা গিয়েছে, হবিবুরের বাড়ি বিহারের কাটিহার জেলার বলরামপুরে। হবিবুরের খোঁজ মিলতেই তাঁকে ধরতে পুলিশের একটি দল রাজ‍্যের বিহার সীমান্তে ডালখোলা থানা এলাকায় গিয়েছিল। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় হবিবুরকে। তাঁর সঙ্গে আব্দুল এবং সাজ্জাকের দীর্ঘ দিনের বন্ধুত্ব ছিল বলে জানা গিয়েছে। হবিবুরই মোটরসাইকেল জোগাড় করে দিয়েছিল সাজ্জাকদের। এমনকি, আগ্নেয়াস্ত্র কিনতেও তিনি সাহায্য করেছিল। পুলিশের একাংশের দাবি, রায়গঞ্জ জেলের ভিতরেই তাঁদের বন্ধুত্ব হয়েছিল।? 

গত সপ্তাহের বুধবার বিচারাধীন বন্দি সাজ্জাককে আদালতে হাজির করিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে জেলে ফেরানোর সময়ে আচমকা পিস্তল দিয়ে তিনি কর্তব্যরত দুই পুলিশ আধিকারিককে গুলি করেন এবং ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। তাঁর সন্ধান দিতে পারলে পুলিশ দু’লক্ষ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। রাজ্য পুলিশের ডিজি এই ঘটনার পর বলেছিলেন, ‘‘পুলিশের উপর হামলা বরদাস্ত করা হবে না। একটা গুলি চালালে আমরা পাল্টা চারটে গুলি চালাব।’’ তার পরেই পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাজ্জাক। তাঁর শরীরে তিনটি গুলি লেগেছিল। এই ঘটনা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও হয়েছে।? 


Share    

হাইলাইটস