Excise officer is awarded lifetime sentence

গাড়ি চাপা দিয়ে স্ত্রীকে খুন, আবগারি আধিকারিককে যাবজ্জীবন সাজা দিল বালুরঘাট আদালত

২০১৮ সালে বালুরঘাটের পতিরামের নিচাবন্দরে এলাকায় অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয় অনন্যা দত্ত রায়ের। ১১ জুন সকালে বাড়িরই গ্যারাজ থেকে অনন্যার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। তার আগের দিন তিনি কলকাতা থেকে বালুরঘাটে স্বামীর বাড়িতে ফিরেছিলেন।

প্রতীকি চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা,, বালুরঘাট
  • শেষ আপডেট:৩০ আগস্ট ২০২৫ ১১:১৮

স্ত্রীকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা হল আবগারি দফতরেরে আধিকারিকের। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা আদালতের এডিজি ফাস্ট কোর্টের বিচারক সন্তোষকুমার পাঠক আবগারি আধিকারিক দিবাকর ঘোষের ওই শাস্তি ঘোষণা করেন। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ২০১ নম্বর ধারায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮ সালে বালুরঘাটের পতিরামের নিচাবন্দরে এলাকায় অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হয় অনন্যা দত্ত রায়ের। ১১ জুন সকালে অনন্যার রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয় বাড়িরই গ্যারাজ থেকে। তার আগের দিন তিনি কলকাতা থেকে বালুরঘাটে স্বামীর বাড়িতে ফিরেছিলেন। স্বামী দিবাকর নিজেই মল্লিকপুর স্টেশনে আনতে গিয়েছিলেন অনন্যাকে। পরের দিন সকালে স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি জানান, গাড়ি ঘোরাতে গিয়ে দুর্ঘটনা হয়েছে। বুঝতে পারেননি যে স্ত্রী দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তাঁর গাড়ির চাকায় পিষ্ট হন অনন্যা। যদিও ওই দাবি উড়িয়ে দেয় আবগারি আধিকারিকের শ্বশুরবাড়ি। তারা খুনের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয় অন্যত্র খুন করে স্ত্রীর উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেন দিবাকর। পুলিশ তদন্ত শুরু করে দিবাকরকে গ্রেফতার করে। 

মামলার সরকারি আইনজীবী ঋতব্রত চক্রবর্তী এই শাস্তিঘোষণাকে ‘দৃষ্টান্তমূলক’ বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘‘২০১৮ সালের ১১ জুন অমলেন্দু দত্ত রায় বালুরঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি জানান, তাঁর মেয়ে অনন্যা দত্ত রায়কে খুন করা হয়েছে।’’ আইনজীবী জানিয়েছেন, সামাজিক মতে বিয়ে হয়েছিল দিবাকর-অনন্যার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে স্ত্রীর উপর শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার চালাতেন স্বামী। বিভিন্ন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে আদালতে প্রমাণ হয় যে স্ত্রীকে খুন করেছেন ওই আবগারি আধিকারিক।


Share