Facebook Live-Stream Suicide Twist

মালদহে ফেসবুক লাইভে আত্মহত্যা, প্রেমিকা কনটেন্ট ক্রিয়েটরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ স্ত্রীর

ফেসবুকে লাইভ করে আত্মহত্যা করা মালদার কনটেন্ট ক্রিয়েটর দুর্লভ সাহার মৃত্যুকে ঘিরে নতুন বিস্ফোরক অভিযোগ। স্ত্রী দাবি, প্রেমিকা সালমার ব্ল্যাকমেল ও ১৫ লক্ষ টাকার চাপেই আত্মঘাতী স্বামী—থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের।

হরিশচন্দ্রপুর পুলিশ স্টেশন
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহ
  • শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৪:০০

মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরে আত্মহত্যাকে কেন্দ্র করে ফের রহস্য ঘনীভূত। ফেসবুকে লাইভ করে আত্মহত্যার পর কনটেন্ট ক্রিয়েটর দুর্লভ সাহার মৃত্যুকে ঘিরে এবার নতুন মোড় তৈরি হয়েছে। মৃতের স্ত্রী মৌসুমী সাহা অভিযোগ করেছেন, তাঁর স্বামীর আত্মহত্যার নেপথ্যে রয়েছেন আরেক মহিলা কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমা সরকার। তাঁর দাবি, বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে দুর্লভকে মানসিকভাবে চাপে ফেলে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করতেন সালমা। হুমকি দিতেন ঘনিষ্ঠ ছবি ও ভিডিও ফাঁস করার। সেই চাপে পড়েই দুর্লভ আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

৬ ডিসেম্বর রাতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মোবারকপুর কালিতলায় নিজের শোবার ঘর থেকে ফেসবুকে লাইভ করেই আত্মঘাতী হন দুর্লভ সাহা। ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়। সামাজিক মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি করার পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি সংস্থায় সেলসম্যানের কাজ করতেন। তবে গত এক বছর ধরে তাঁর দাম্পত্য জীবনে অশান্তি চলছিল। অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী চাঁচল হবিনগরের কনটেন্ট ক্রিয়েটর সালমা সরকারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন দুর্লভ। এই সম্পর্ক ঘিরে বিবাদে দুই কন্যাকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকতে শুরু করেছিলেন মৌসুমী।

এর আগেও সালমার বিরুদ্ধে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছিলেন দুর্লভের স্ত্রী। সামাজিক মাধ্যমেও তিনি বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। দুর্লভের মৃত্যুর পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এটি কি দাম্পত্য কলহের জেরে আত্মহত্যা, নাকি কোনও ভিডিও বানাতে গিয়ে দুর্ঘটনা?

সোমবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় নতুন করে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন মৌসুমী। তাঁর দাবি, সাম্প্রতিক সময়ে দুর্লভ তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক করতে চাইছিলেন। স্ত্রী ও দুই মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাতে শুরু করেছিলেন। এতে নাকি অসন্তুষ্ট ছিলেন সালমা। ক্রমাগত অশান্তি করতেন, হুমকি দিতেন পূর্বের ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে দেওয়ার। দাবি করেছিলেন ১৫ লক্ষ টাকা। মৃত্যুর আগের রাতেও দুর্লভ তাঁকে এই বিষয় জানিয়েছিলেন বলে দাবি মৌসুমীর। তাঁর আরও অভিযোগ, সেদিন সন্ধ্যা থেকে দুর্লভের ফোন ব্যস্ত পাওয়া যাচ্ছিল, যা তাঁর সন্দেহ আরও বাড়িয়ে দেয়।

মৌসুমীর দাবি, সালমার লাগাতার চাপ ও হুমকির কারণেই দুর্লভ আত্মহত্যা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, এটি নিছক আত্মহত্যা নয়—এ ঘটনা খুনের সমান। সালমা নাকি আগেও একাধিক যুবককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে টাকা আদায় করেছেন। তাই ওই মহিলার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া এবং তাঁর ফোন বাজেয়াপ্ত করার দাবি জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতের স্ত্রী।


Share