Malda Carnival Row

মালদহে কার্নিভালের সাজ, চাঁদা বিতর্কে উত্তপ্ত রাজনীতি, তোলাবাজির অভিযোগে মুখোমুখি তৃণমূল-বিজেপি

মালদহে বড়সড় কার্নিভাল আয়োজন ঘিরে শুরু বিতর্ক। চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সরব ব্যবসায়ী ও বিজেপি। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে উৎসবের পক্ষে সওয়াল পুর চেয়ারম্যানের।

মালদহে কার্ণিভাল উৎসবের প্রস্তুতি
নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহ
  • শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৬:৪৯

প্রতি বছরের মতো এ বছরও মালদহে বড় আকারে কার্নিভালের আয়োজন হতে চলেছে। আগামী ২৫ ডিসেম্বর থেকে ১ জানুয়ারি পর্যন্ত ইংরেজবাজার পৌরসভার উদ্যোগে শহরের বিবেকানন্দ ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে এই কার্নিভাল। ইতিমধ্যেই শহরজুড়ে তোরণ, আলোকসজ্জা ও মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

ইংরেজবাজার পৌরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানিয়েছেন, এ বছর কার্নিভালে ফকিরা, মানসী ঘোষ, জাবেদ আলি-সহ একাধিক নামী শিল্পী অংশ নেবেন। কার্নিভালের জন্য পৌরসভার তরফে ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি কার্নিভাল কমিটি বিভিন্ন উৎস থেকে চাঁদা সংগ্রহ করেও আয়োজন করবে অনুষ্ঠান।

তবে এই চাঁদা সংগ্রহ নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। মালদহ মার্চেন্ট চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি জয়ন্ত কুন্ডুর অভিযোগ, কার্নিভালের নামে ব্যবসায়ী, কন্ট্রাক্টর ও প্রোমোটারদের কাছ থেকে চাপ সৃষ্টি করে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়। তাঁর দাবি, আনন্দের উৎসবের দিনেই এই চাপ ব্যবসায়ীদের জন্য অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। চাঁদার চাপ কমানোর দাবি তুলেছেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি কাউন্সিলর অম্লান ভাদুড়ী বলেন, আগে কলকাতার পার্ক স্ট্রিট বা বড় শহরেই মূলত এই ধরনের কার্নিভাল দেখা যেত। এখন জেলাতেও হচ্ছে, কিন্তু কার্নিভালের নামে যেভাবে ব্যবসায়ী, কন্ট্রাক্টর ও প্রোমোটারদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা হয়, তাকে তোলাবাজি বললেও অত্যুক্তি হবে না। এই প্রক্রিয়া বন্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে তিনি দাবি করেন।

যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ পৌর চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী। তাঁর পাল্টা বক্তব্য, মানুষ আনন্দ করবে, উৎসবে অংশ নেবে এটাই মূল কথা। বিজেপি শুধুমাত্র অভিযোগ করেই চলেছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি।


Share