Hills Teachers Fired

নিয়োগ দুর্নীতিতে হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি গেল ৩১৩ জনের, তদন্তে সিবিআই এবং বেতন ফেরতের দাবিতে সরব যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা

হাইকোর্টের নির্দেশে নিয়োগ দুর্নীতিতে পাহাড়ের ৩১৩ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল ও বেতন বন্ধ। সুদ-সমেত বেতন ফেরতের দাবি ও কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবিতে সরব চাকরিপ্রার্থীরা। তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠনও।

টির্চাস সংগঠন
নিজস্ব সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি
  • শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৮:৩৭

দুর্নীতির অভিযোগে পাহাড়ের ৩১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর রায়ে শুধু চাকরি বাতিলই নয়, অবিলম্বে তাঁদের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এই নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় আরও কড়া পদক্ষেপের দাবি তুলেছে মামলাকারী সংগঠন ট্রেনড আনএমপ্লয়েড ইয়ুথ ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন। সংগঠনের সভাপতি সুধন গুরুং জানান, শুধুমাত্র ৩১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করলেই দায়িত্ব শেষ হয় না। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানো প্রয়োজন। পাশাপাশি, দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত মূল অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিও তোলেন তিনি।

এছাড়াও, চাকরি পাওয়ার দিন থেকে বরখাস্ত হওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা যে বেতন পেয়েছেন, তা সুদ-সমেত ফেরত নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন সুধন গুরুং।

অন্যদিকে, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে চাকরিহারা ৩১৩ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার পাশে থাকার কথা জানিয়েছে নিখিলবঙ্গ শিক্ষক সমিতি। তবে সংগঠনটিও নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত এবং প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে একমত।

দার্জিলিং জেলার এবিটিএ কার্যালয়ে আয়োজিত সাংবাদিক বৈঠকে সংগঠনের জেলা সম্পাদক বিদ্যুৎ রাজগুরু জানান, নির্দোষদের যেন হয়রানি না করা হয় এবং প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া হোক এই দাবিতেই তাঁরা অনড়।. 


Share