Mob Lynching

কড়েয়ায় মোবাইল চোর সন্দেহে যুবককে বেধড়ক মারধর, পায়ে ‘ড্রিল মেশিন’ দিয়ে আঘাত, গ্রেফতার চার যুবক

কড়েয়ায় যুবককে আটকে রেখে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। মারধরের অভিযোগে চার যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। জানা গিয়েছে তারা সবাই স্থানীয় বাসিন্দা।

জখম যুবকের নাম সিকান্দার আজম।
এখন কলকাতা ডেস্ক
কলকাতা -নিজস্ব চিত্র।
  • শেষ আপডেট:২০ জুন ২০২৫ ০৬:০১

ফের মোবাইল চোর সন্দেহে আটকে রেখে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে কড়েয়া থানার এলাকায়। জখম যুবকের নাম সিকান্দার আজম ( ৩৬)। গত রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে। মারধরের ঘটনায় পুলিশ চার জন যুবককে গ্রেফতার করেছে। জখম যুবক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

গত ১৮ জুন, রবিবার বিকেলের দিকে কড়েয়া থানার মসজিদ বাড়ি লেনে মোবাইল চোর সন্দেহে সিকান্দর আজম নামে এক যুবককে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, স্থানীয় কয়েক জন যুবক প্রথমে সিকান্দরকে আটকে রাখে। এর পর তার ওপর অত্যাচার চালানো হয়। পরিবারের আরও অভিযোগ, সিকান্দরের হাতে, ঘাড়ে এবং মাথায় গুরুতর আঘাত লাগেছে। মারধর করার পর ‘ড্রিল মেশিন’ দিয়ে পা ফুটো করে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। মারধরের পর সিকান্দরের পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হওয়ায় অভিযুক্তেরা রাস্তার মধ্যে ফেলেই চলে যায়। কোনও রকমে বেঁচে বাড়িতে চলে আসে। পরিবারের সদস্যেরা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে কলকাতা ন‍্যাশনাল মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। পরে বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।

গতকাল, বৃহস্পতিবার কড়েয়া থানায় জখম যুবকের স্ত্রী জাহানারা বেগম ওই পাঁচ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করে। মারধরের অভিযোগে স্থানীয় চার যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম জাহিদ হোসেন, মনোয়ার হোসেন, শাহিদ আলি এবং বিকাশ রাউত। পরিবারের অভিযোগ, থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে পুলিশ অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমার বলেন, ‘এরকম কোনও অভিযোগ পাইনি। যদি কোনও অভিযোগ থাকে তাহলে ডিসি অথবা তারও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারে। তার পরেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


Share    

হাইলাইটস