Health

‘মুখ খোলার কেউ ছিল না’, জুনিয়র ডাক্তারদের সভায় মন্তব্য মন্তব্য কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের

এই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ একাধিক তৃণমূল নেতারা।

ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম সভা।
এখন কলকাতা ডেস্ক
কলকাতা -নিজস্ব চিত্র।
  • শেষ আপডেট:২৭ এপ্রিল ২০২৫ ১২:০০

আরজি কর-কাণ্ডের পর ‘থ্রেট ক্যালচার’-এ অভিযোগে বেশ কয়েক জন জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এই সাসপেনশন ‘অবৈধ’ দাবি করে তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তখন সেই আইনি লড়াইয়ে তাঁদের পাশে দাঁড়ান আইনজীবী তথা শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য রবিবার কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশেষভাবে সংবর্ধনা জানাল ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। এই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শিশু ও নারী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ একাধিক তৃণমূলের নেতা।? 

রবিবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সিপিআইএম এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেন। কল্যাণ বলেন, “আরজি কর মেডিক্যালের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিপিআইএম সংগঠনের ডাক্তাররা, বিজেপির ডাক্তাররা, যারা তৃণমূল বিরোধী তারা যেভাবে ডাক্তার ছাত্রদের সাসপেন্ড করানো, হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার দুর্বিসহ দিন দেখিয়েছে। মুখ খোলার কেউ ছিল না। কোনও প্রমাণ ছাড়াই কীভাবে একের পর এক ছাত্রকে কখনও সাসপেন্ড করা হচ্ছে, কাউকে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে। কেরিয়ার শেষ করার চক্রান্ত চলছিল। দুঃখের কথা, কিছু জুনিয়র ডাক্তারই এই সব করছিল, আর এদের পিছন থেকে মদত দিচ্ছিল কিছু সিনিয়র ডাক্তার।” কল্যাণ আরও বলেন, “এ সব অন্যায় দেখে বসে থাকতে পারিনি। শেষে আইনি লড়াইয়ে ন্যায়বিচার মেলে।”? 

এ দিন শশী পাঁজা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে রাজ্যে স্বাস্থ্যক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী চান সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা যেন প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছয়, সেই লক্ষ্যে আমাদের কাজ করতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “স্বাস্থ্য সকলের জন্য। চিকিৎসকরা বিবেচনা করেন না তার কোনও রাজনৈতিক পরিচয় আছে কিনা। এখানে কখনও দূষিত ফেনাইল, ওষুধের কথা আসবে। এই যে কুৎসা ও বদনাম করার যে চেষ্টা তার বিরুদ্ধে আপনাদেরকে সামনে থেকে সেই লড়াইটা করতে হবে।“? 

হাই কোর্টের নির্দেশে কলেজ এবং হস্টেলে ফিরতে হয় জুনিয়র ডাক্তারদের। তারপরে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ পায় তৃণমূলপন্থী সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। এ দিন ওই সংগঠনেরই রাজ্য কমিটির প্রথম বৈঠক ছিল। সেখানেই তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ দেন। উল্লেখ্য, এই বৈঠকের আয়োজনে ছিলেন পিএইচএ বা প্রোগ্রেসিভ হেলথ অ্যাসোসিয়েশন।? 


Share    

হাইলাইটস