Bus Strike

৭২ ঘণ্টার জন্য বাস বন্ধের হুঁশিয়ারি, বাসের ভাড়া বৃদ্ধি-সহ একাধিক দাবিতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাস মালিক সংগঠনের

অভিযোগ, পুলিশের ঘন ঘন জরিমানা নেওয়া, অতিরিক্ত টোল ট্যাক্স আদায়, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি-সহ নানা কারণে ভুগতে হচ্ছে রাজ্যের বেসরকারি বাস ও মিনিবাসগুলিকে। বাস মালিকদের দাবি, আগামী ২০ তারিখের মধ্যে এ নিয়ে সদর্থক পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে।

মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চিঠি দিল বাস মালিক সংগঠন।
এখন কলকাতা ডেস্ক
কলকাতা -নিজস্ব চিত্র।
  • শেষ আপডেট:০৮ মে ২০২৫ ১২:০০

২০১৮ সাল থেকে ভাড়া বৃদ্ধি হয়নি। এতে আয় কমেছে। তার ওপর বেড়েছে পুলিশের জুলুম। এমনই পাঁচ দফা দাবি নিয়ে এ বার মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে চিঠি দিল পাঁচটি বাস মালিক সংগঠন। তাদের দাবি, নির্ধারিত দিনে যদি মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার দেখা না করেন, তাহলে ৭২ ঘণ্টা বাস ঘর্মঘট হবে। তাও যদি না হয় তাহলে আরও বড় আন্দোলনের যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাস মালিকদের সংগঠনগুলি।? 

পাঁচটি বেসরকারি বাস-মিনিবাস সংগঠনের মঞ্চ ‘বেসরকারি যাত্রী পরিবহণ বাঁচাও কমিটি’র তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে ওই বার্তা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেট (পশ্চিমবঙ্গ), বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেট, ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, মিনিবাস অপারেটর্স কো-অর্ডিনেশন কমিটি এবং ইন্টার অ্যান্ড ইন্ট্রা রিজ়িয়ন বাস অ্যাসোসিয়েশন। পাঁচ সংগঠনের তরফে যৌথ ভাবে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।? 

বাস মালিকদের দাবি, ২০১৮ সাল থেকে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেওয়া হয়নি। উল্টে পুলিশের জুলুম বেড়েছে। ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির হয়েছে। এতে খরচ বেড়েছে। তাই পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাঁদের আরও দাবি, রাজ‍্যে যে ৫২টি টোল রয়েছে, তাতেও মুল‍্যবৃদ্ধি হয়েছে। তাই আগামী ২০ তারিখের মধ্যে এ নিয়ে সদর্থক পদক্ষেপ করতে হবে রাজ্যকে। অন্যথায় ২২, ২৩ এবং ২৪ মে ৭২ ঘণ্টার জন্য শহরে বেসরকারি বাস ও মিনিবাস পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।? 

এ বিষয়ে বাস মালিক সংগঠনের নেতা প্রদীপ নারায়ণ বোস বলেন, “আমাদের গাড়ি ১৩ বছরে বাতিল হয়ে যাচ্ছে। হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও তারা বিবেচনা করেনি। এ ছাড়াও পুলিশি জুলুম বেড়ে চলেছে। পুলিশ রাজস্ব আদায়ের নামে ৫০০ টাকা করে তোলাবাজি করছে। ডিজেলের দাম বাড়ছে। এই ভাবে আমাদের পরিষেবা দেওয়া যাচ্ছে না। তাই আমরা মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে কথা বলতে চাই। আমাদের কাছে প্রমাণ আছে। সেখানেই সব পরিবেশন করব।”? 

এ দিন জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করব। তিনি যদি সদর্থক পদক্ষেপ না করেন, তা হলে আমরা আমাদের ঘোষিত সিদ্ধান্তে যাব।’’? 


Share    

হাইলাইটস