মুর্শিদাবাদে সরকারি কর্মসূচিতে গিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, কারও কারও লক্ষ্য হল দুই দেশের মধ্যে গন্ডগোল বাধিয়ে সরে পড়া। তাই কোনও মতেই প্ররোচনায় পা দেওয়া চলবে না। প্ররোচনায় পা দিয়ে সীমান্তের ও পারে যাওয়াও চলবে না। তবে বাংলাদেশ সীমান্তে শান্তিরক্ষার ভার নেওয়ার জন্য তিনি সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)-কেই এগিয়ে আসতে বলেছেন। এর আগে বিএসএফের দিকে আঙুল তুললেও সোমবার মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন, সীমান্ত বিএসএফই দেখবে।?
সোমবার মুর্শিদাবাদের লালবাগে ‘নবাব বাহাদুর ইনস্টিটিউশন’-এ সরকারি পরিষেবা প্রদানের কর্মসূচি ছিল। সেখানে নবাবের পরিবারের সদস্যেরা উপস্থিত ছিলেন। ওই কর্মসূচিতে জেলার মানুষের হাতে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেই সীমান্তে শান্তিরক্ষা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘মুর্শিদাবাদের ওপারে বাংলার সীমান্ত রয়েছে। সেই সীমান্ত বিএসএফ দেখুক। আমাদের উপর অত্যাচার হলে আমরা দেখব।’’ তার পরেই সাধারণ মানুষকে সতর্কও করেছেন মমতা। তিনি বলেন, ‘‘দয়া করে কারও প্ররোচনায় পা দিয়ে ও দিকে যাবেন না। কারণ অনেকের উদ্দেশ্য হল দাঙ্গা লাগিয়ে, দুই দেশের মধ্যে গন্ডগোল বাধিয়ে সরে পড়া। আমি চাই সীমান্তে বিএসফ দায়িত্ব নিক, যাতে সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়। আমি লোকাল পুলিশকে বলব, তাঁরা যেন মাইকিং করে ফিরে আসতে বলেন।’’ আইন হাতে তুলে নিতেও বারণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।?
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বিএসএফের দিকে আঙুল তুলেছেন মমতা। ভুয়ো পাসপোর্ট চক্র, রাজ্য থেকে বেশ কয়েক জন জঙ্গি, অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়ার পরে সমালোচনার মুখে পড়েছিল রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, বিএসএফই রাজ্যে গুন্ডা, লোক ঢোকাচ্ছে। সরকারি ভাবে তার জবাবও দিয়েছিল বিদেশ মন্ত্রক। জানিয়েছিল, অনিয়মের কোনও প্রশ্ন নেই। এ বার মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে মমতা জানিয়ে দিলেন, তিনি চান, সীমান্তে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেবে বিএসএফই।?