Huge RDX Recovery

ডাক্তারির আড়ালে জঙ্গি কার্যকলাপ! চিকিৎসক আদিল আহমেদকে গ্রেফতারির পরে দিল্লির কাছ থেকে উদ্ধার ৩০০ কেজি আরডিএক্স এবং একে-৪৭ রাইফেল

বর্তমানে দুই চিকিৎসকই জম্মু ও কাশ্মীরে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের আরও একদল চিকিৎসক গোয়েন্দা সংস্থার আতস কাচের নীচে রয়েছে। তাদের সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদ ও গাজওয়াত-উল-হিন্দ জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র থাকার সন্দেহ করছে তদন্তকারীরা।

আদিল আহমেদ রাথের পেশায় চিকিৎসক।
নিজস্ব সংবাদদাতা, দিল্লি
  • শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৫ ১১:২৯

দিল্লির কাছেই ৩০০ কেজি আরডিএক্স, একে-৪৭ রাইফেল-সহ কার্তুজ উদ্ধার করল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। হরিয়ার ফরিদাবাদ থেকে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে এতো বিস্ফোরক মজুত করা হয়েছিল তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশের সাহরানপুর থেকে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই- মহম্মদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ডাক্তারকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের করেই এই সাফল‍্য এসেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, আদিল আহমেদ রাথের বলে এক ডাক্তারকে গ্রেফতার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। পেশায় ডাক্তার আদিল আহমেদ রাথের অনন্তনাগ গভর্নমেন্ট মেডিকেলের কর্মরত ছিল। ওই হাসপাতালে আদিলের নামে থাকা লকার থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে গ্রেফতার করে মুজামিল শাকিল বলে আরও এক ডাক্তারের নাম জানতে পেরেছে পুলিশ। শাকিল পুলওয়ামার কৈল এলাকার বাসিন্দা। তদন্তকারীদের অনুমান, এই শাকিলই ফরিদাবাদে বিস্ফোরক মজুত করতে সাহায্য করেছিল। তাকে খুঁজছে পুলিশ। 

বর্তমানে দুই চিকিৎসকই জম্মু ও কাশ্মীরে পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, জম্মু ও কাশ্মীরের আরও একদল চিকিৎসক গোয়েন্দা সংস্থার আতস কাচের নীচে রয়েছে। তাদের সঙ্গে জইশ-ই-মহম্মদ ও গাজওয়াত-উল-হিন্দ জঙ্গি সংগঠনের যোগসূত্র থাকার সন্দেহ করছে তদন্তকারীরা। বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের ৭/২৫ এবং বেআইনি কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের ধারা ১৩, ২৮, ৩৮ ও ৩৯ অনুযায়ী মামলা রুজু করা হয়েছে।


Share