Dhaka Protest

ভারত বিরোধী আন্দোলনে উত্তপ্ত বাংলাদেশ, নিরাপত্তার কারণে দুটি ভিসাকেন্দ্র বন্ধ করল দিল্লি, বাংলাদেশের রাস্ট্রদূতকে তলব বিদেশ মন্ত্রকের

রাজশাহীর পুলিশ জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই বিক্ষোভকারীদের থামানো হয়েছে। বোয়ালিয়া জোনের এডিসি ফরহাদ হোসেন বলেন, বিক্ষোভকারীদের দাবিদাওয়া গণমাধ্যমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে।

বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বচসা পুলিশের।
নিজস্ব সংবাদদাতা, দিল্লি
দিল্লি
  • শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫ ০২:২০

ভারত আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত বাংলাদেশ। বুধবার তা তীব্র আকার ধারণ করল। ওই দেশের একাধিক শহরে বিক্ষোভকারীরা ভারতের দূতাবাসের দিকে মিছিল করার চেষ্টা করে। নিরাপত্তার কারণে রাজশাহী এবং খুলনার ইন্ডিয়ান ভিসা অ‍্যাপলিকেশন সেন্টার (আইভ‍্যাক) বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি।

প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের একাংশের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-র নেতা হাসনাত আবদুল্লার ভারত এবং হিন্দু বিরোধী বক্তৃতা করেছিলেন।  সম্প্রতি হাসনাত তাঁর বক্তৃতায় ‘সেভেন সিস্টার্স’-কে (উত্তর-পূর্ব ভারতের সাত রাজ্য) ভারতের মানচিত্র থেকে আলাদা করে দেওয়ার ডাক দেন। এমনকি, উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়ার কথাও বলেন। তার পরেই ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে ভারত সরকার।

এমন পরিস্থিতিতে রাজশাহী এবং খুলনায় অবস্থিত দুটি ভিসাকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আইভ‍্যাক জানিয়েছে, আজ, বৃহস্পতিবার ভিসাকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। যেসব গ্রাহকদের সময় দেওয়া হয়েছিল, তাঁদের জন‍্য পুনরায় সময় করে ‘স্লট’ দেওয়া হবে। তবে নিরাপত্তার কারণেই ভিসাকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বুধবার রাজশাহীতে ভারতীয় বিরোধী ‘জুলাই ৩৬ মঞ্চ’-এর ব্যানারে বিক্ষোভকারীরা ভদ্রা মোড় থেকে ভারতের সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ের দিকে মিছিল শুরু করে। পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়ে তাদের আটকে দেয়। এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। শেষ পর্যন্ত মিছিলটি আটকে দেওয়া হয়। সহকারী হাইকমিশনে পৌঁছাতে পারেনি বিক্ষোভকারীরা।

রাজশাহীর পুলিশ জানায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থেই বিক্ষোভকারীদের থামানো হয়েছে। বোয়ালিয়া জোনের এডিসি ফরহাদ হোসেন বলেন, বিক্ষোভকারীদের দাবিদাওয়া গণমাধ্যমের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছেছে।

এর আগের দিন, ১৭ ডিসেম্বর, রাজধানী ঢাকাতেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়। “জুলাই ঐক্য”-এর ব্যানারে একদল ভারত বিরোধী বিক্ষোভকারী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের দাবিতে মিছিল করে। গুলশানে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশনের কাছে পুলিশ সেই মিছিল আটকে দেয়। বিক্ষোভ চলাকালীন ভারত বিরোধী ‘স্লোগান’ ওঠে। এই বিক্ষোভের জেরে ঢাকার আইভ‍্যাক ওই দিন দুপুর ২টা থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে এই ঘটনাগুলি বেড়েই চলছে। নেতাদের মুখে ভারত এবং হিন্দু বিরোধী স্লোগান শোনা যাচ্ছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি বলতে কী বোঝানো হয়েছে তা স্পষ্ট করেনি। এরই মধ্যে, বুধবারই দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এম রিয়াজ হামিদুল্লাকে তলব করেছিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক।


Share