Youth Beaten By Goons

গভীর রাতে বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে যোগা শিক্ষিককে বেধড়ক মারধর হিন্দমোটরে, গুরুতর জখম পাঁচ যুবক

রবিবার বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ থেকে হিন্দ মোটর ধর্মতলা থেকে ফিরছিলেন স্থানীয় যোগা শিক্ষক জ্যোতিষ্ক বাইন। পথে সঞ্জয় দাসের সঙ্গে তিনি বচসায় জড়িয়ে পড়েন। অভিযোগ, সঞ্জয় মদ্যপ অবস্থায় অত্যাধিক জোরে গাড়ি চালাচ্ছিল। তার প্রতিবাদ করায় জ্যোতিষ্ককে মারধর করে সঞ্জয়।

প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, হিন্দমোটর
  • শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:৪৯

রবিবার গভীর রাতে বিয়ে বাড়ি থেকে যোগা শিক্ষককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ কয়েক জন দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। তাঁকে বাঁচাতে এসে জখম হয়েছেন তাঁর পাঁচ জন বন্ধুও। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির হিন্দমোটরে। উত্তরপাড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার বিয়ে বাড়ির নিমন্ত্রণ সেরে হিন্দমোটর ধর্মতলা থেকে ফিরছিলেন স্থানীয় যোগা শিক্ষক জ্যোতিষ্ক বাইন। তাঁর কথায়, সেই সময় কয়েক জন যুবক মদ্যপ অবস্থায় বিপজ্জনক ভাবে গাড়ি চালাচ্ছিল। তাদের ধীরে চালাতে বলা হয়। অভিযোগ, এর পরেই তারা জ্যোতিষ্কের ওপরে চড়াও হয়ে। এমনকি ইট দিয়ে মাথায় মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। তিনি প্রাণে বাঁচতে বন্ধুদের ফোন করে ডাকেন। তাঁরা ঘটনাস্থলে এলে, তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। 

তাঁর কথায়, তাঁকে মারধর করেছে সঞ্জয় দাস নামে এক যুবক। সঞ্জয়ের দুই সঙ্গীও তাঁদের মারধর করেছে বলে জানান ওই যোগা শিক্ষিক। স্থানীয় সূত্রের খবর, সঞ্জয় এর আগেও একাধিক অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি সে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। 

ঘটনায় মোট পাঁচজন যুবকের মাথায়, মুখে কানে আঘাত লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করে উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার করা হলেও দুই যুবকের মাথার আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। আপাতত তাঁদেরকে সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছে চিকিৎসকেরা।

জ্যোতিষ্কের পরিবার গোটা ঘটনা উত্তরপাড়া থানায় জানিয়েছে। উত্তরপাড়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পার্থ দাস জানান, গতকাল রাতে তার এলাকার কয়েক জন যুবককে সঞ্জয় দাস নামে দুষ্কৃতী মধ্যপ অবস্থায় ইট পাথর দিয়ে আক্রমণ করে। উত্তরপাড়ার মতো শান্তিপূর্ণ জায়গায় এই ধরনের দুষ্কৃতীমূলক আক্রমনের ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।


Share