Special Intensive Revision

পশ্চিম মেদিনীপুরের ভোটার তালিকায় নাম থাকলেও খোঁজ নেই ৪৪ হাজার জনের, মেনে নিলেন জেলাশাসক, কটাক্ষ বিরোধী দল বিজেপির

এই খবর সামনে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, এই বিপুল সংখ্যক ভুয়ো ভোটার তালিকায় ছিল। এদের ভোটেই জিতে আসছে তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, এত কম সময়ে এসআইয়ের-এর কাজ করানোর জন্যই বিএলওরা ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছোতে পারেনি।

পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, মেদিনীপুর
  • শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৩:৩৯

সোমবার পর্যন্ত গোটা জেলায় খোঁজ মেলেনি ৪৪ হাজার ভোটারের। খবর সামনে আসতেই পশ্চিম মেদিনীপুরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রের খবর, বুথ স্তরের আধিকারিকেরা তিনবার এই সব ভোটারদের ঠিকানায় গেলেও তাঁদের কোনও খোঁজ মেলেনি। ভুয়ো নিয়ে ইতিমধ্যেই তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছে জেলা বিজেপির নেতারা। 

জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল পর্যন্ত ওই জেলায় ৪৪ হাজার ভোটারের কোনও খোঁজ মেলেনি। বুথ স্তরের আধিকারিকেরা ভোটারদের ঠিকানায় তিনবার গিয়েছেন। খোঁজ না মেলায় ৪৪ হাজার এনুমারেশন ফর্ম ফেরত এসেছে। জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর সূত্রের খবর, এরমধ্যে শুধু খড়্গপুরের ২৫ হাজার ভোটারের কোনও খোঁজ মেলেনি। মেদিনীপুর শহরে ভুয়ো ভোটারের সংখ্যাটা প্রায় পাঁচ হাজার। বাকিটা রয়েছে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে। এ ছাড়াও, সোমবার বিকেল পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে ভোটার তালিকায় ধরা পড়েছে ৮৪ হাজার ৪০০ জনের নাম। 

পশ্চিম মেদিনীপুরের এই বিপুল সংখ্যক ভোটারের যে হদিস নেই তা মেনে নিয়েছেন জেলাশাসক তথা জেলা নির্বাচনী আধিকারিক বিজিন কৃষ্ণ। তবে ঠিক কী কারণে এত সংখ্যক ভোটারের হদিশ পাওয়া গেল না, তা অবশ্য বলতে পারেননি জেলাশাসক। তালিকায় নাম থাকা মৃত, স্থানান্তরিত, একাধিক কেন্দ্রে নাম থাকা এবং যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও খোঁজ মেলেনি এমন ভোটার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় চার লক্ষ পাঁচ হাজার রয়েছে বলে জানান জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ।

এই খবর সামনে আসতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির দাবি, এই বিপুল সংখ্যক ভুয়ো ভোটার তালিকায় ছিল। এদের ভোটেই জিতে আসছে তৃণমূল। অন্যদিকে, এই বিপুলসংখ্যক ভোটারের খোঁজ না মেলার পেছনে নির্বাচন কমিশনকেই দায়ী করেছে শাসকদল তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি, এত কম সময়ে এসআইয়ের-এর কাজ করানোর জন্যই বিএলওরা ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছোতে পারেনি। 


Share