Special Intensive Revision

চাঁপদানির পরে বৈদ‍্যবাটী! এসআইআর শুরু হতেই উধাও ৭০ জন ভোটার, উপায় না পেয়ে লিস্ট দিলেন দিল বিএলও

অন্যত্র চলে গেছেন,দু জায়গায় নাম আছে বা মৃত ভোটার। ২০২৫ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে ১০৯ নম্বর বুথে। বৈদ্যবাটী মধুচক্র প্রাথমিক স্কুলে ভোট দেন তারা। কিন্তু এসআইআর শুরু হতেই যেন হওয়ায় মিলিয়ে গেছে ভোটার।

বৈদ্যবাটী মধুচক্র প্রাথমিক স্কুল
নিজস্ব সংবাদদাতা, বৈদ্যবাটী
  • শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:০৮

চাঁপদানির পর এ বার বৈদবাটী। জানা গিয়েছে, বৈদবাটীর ১০৯ নম্বর বুথে ৭০ জন ভোটারের কোনও খোঁজ মিলছে না। ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর এনুমারেশন ফর্ম বিলির কাজ প্রায় শেষের পথে। সেই অবস্থায় এতেগুলি নামের হদিশ না মেলায় কার্যত বাধ্য হয়েই স্থানীয় স্কুলের দেওয়ালে নোটিস ঝুলিয়ে দিলেন বুথ স্তর আধিকারিক।

জানা গিয়েছে, বৈদ্যবাটীর ১০৯ নম্বর বুথের রয়েছে ১২০০ জন ভোটার। তাঁরা ভোটকেন্দ্র মধুচক্র প্রাথমিক স্কুলে ভোটদান করেন। ২০২৫ এর ভোটার তালিকায় নাম থাকায় তাদের নামে এনুমারেশন ফর্ম বের হয়। সেই ফর্ম নিয়ে বিএলও-রা তাদের ঠিকানায় গিয়েছেন। তিন-তিন বার সেই ঠিকানায় গিয়েও কোনও খোঁজ মেলেনি। সেখানেই ৭০ জনের নিঁখোজের নামের এপিক নম্বর-সহ তালিকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এরা যদি এই এলাকার বাসিন্দা হতেন, তবে আমরা তাঁদের চিনতাম। কিন্তু কোনও দিনও এই ভোটারদের দেখিনি। 

যদিও তালিকায় ভুয়ো ভোটারের থাকার অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর। তাঁর দাবি, এই এলাকার অনেক মানুষ মুঠিয়ার কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই কাজের সূত্রে অনেক জায়গায় চলে যান। তাই ভোটার তালিকায় তাঁদের নামগুলি রয়ে গিয়েছে। তৃণমূল কাউন্সিলরের এ হেন দাবিতে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল কাউন্সিলর যদি জেনেই থাকেন তাঁরা বাইরে চলে গিয়েছেন, তাহলে নাম কাটানোর কেন ব‍্যবস্থা করেননি।

প্রসঙ্গত, চাঁপদানী বিধানসভার পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের এনুমারেশন ফর্ম বিলি করার কাজ শেষ হয়েছে। তিন বার ওই এলাকায় ১১১ এবং ১১২ নম্বর বুথে তাঁদের ঠিকানায় গেলেও তাদের খোঁজ পাননি বিএলও। ১১১ নম্বর বুথে ২৫ জন এবং ১১২ নম্বর বুথে ৩০ জন ভোটারকে চিহ্নিত করাই যাচ্ছে না। তাঁরা কারা, বর্তমানে তাঁরা কোথায় থাকেন তা-ও জানা যায়নি। এমনকি বিএলও-দের সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক দলের বিএলএ-রাও তাঁদের হদিশ দিতে পারেনি বলেও জানা গিয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও ভোটারের হদিশ না পাওয়া গেলে এলাকায় নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়ার কথা। সেই মতো এলাকায় তালিকা ঝুলিয়ে নোটিস টাঙিয়ে দিলেন বুথ স্তরের আধিকারিক (বিএলও


Share    

SIR