Jhargram Murder

ঝাড়গ্রামে বাবা-মাকে খুন করে আত্মহত্যার চেষ্টা পুলিশকর্মীর, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হাসপাতালে

ওই পুলিশকর্মী ঝাড়গ্রামের জঙ্গলমহল ব‍্যাটেলিয়নে সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।

খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, রঘুনাথপুর
  • শেষ আপডেট:০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০১:৫৯

সার্ভিস রিভলভার দিয়ে বাবা-মাকে খুন করল ছেলে। এর পরেই আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন এক পুলিশকর্মী ছেলে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই পুলিশকর্মীকে কলকাতার একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম শহরের ঘটনাটি ঘটেছে। কী কারণে এমন ঘটনা ঘটল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশকর্মীর বাবা-মার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

ওই পুলিশকর্মীর নাম জয়দেব চট্টোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, বাবা নাম দেবব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং মায়ের নাম শম্পা চট্টোপাধ্যায়। জয়দেব রাজ্য পুলিশের ঝাড়গ্রামে জঙ্গলমহল ব‍্যাটেলিয়নের সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত। ঝাড়গ্রাম পুলিশ লাইনের ছিলেন তিনি। আসানসোলের বাসিন্দা হলেও কর্মসুত্রে ঝাড়গ্রামের রঘুনাথপুরের পুলিশ লাইনের আবাসনে বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে থাকতেন।

সুত্রের খবর, বুধবার রাতে হঠাৎই গুলির শব্দ পান আবাসিকেরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ আধিকারিকেরা পুলিশকর্মীর ঘরে এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁর বাবা-মা পড়ে রয়েছেন। পাশেই পড়ে রয়েছেন জয়দেব। দেবব্রত এবং শম্পার দেহ ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এসআই জয়দেব চট্টোপাধ্যায়কেও সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে কলকাতায় একটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, জয়দেব চট্টোপাধ্যায়ের বয়স ৩২ বছর। ওই পুলিশকর্মী অবিবাহিত ছিলেন। মা-বাবার সঙ্গেই কোয়ার্টার্সে থাকতেন। তিনি মা-বাবাকে গুলি চালিয়ে খুন করে নিজের গলা লক্ষ্য করে গুলি চালান। কী কারণে তিনি এমন কাজ করলেন, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশও। তাঁর বাবা-মার মৃতদেহ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্টে জন‍্য অপেক্ষা করছেন তদন্তকারীরা।


Share