Bangladeshi Model Arrested

এই দেশটা শান্ত, তাই থাকতে ভালো লাগে, পুলিশের জেরার দাবি বাংলাদেশের মডেল শান্তা পালের, শুরু করেছিলেন ব‍্যবসাও

অবৈধভাবে ভারতে থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি মডেল শান্তা পালকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে মিলেছে এই রাজ‍্যের ভোটার কার্ড।

ধৃত বাংলাদেশি মডেলের নাম শান্তা পাল।
নিজস্ব সংবাদদাতা: কলকাতা
  • শেষ আপডেট:০১ আগস্ট ২০২৫ ০৭:২৭

এই দেশে শান্তি আছে। তাই ভারতে থাকতে ভালো লাগে। তদন্তকারীদের জেরায় এমনটাই বলেছেন ধৃত বাংলাদেশের মডেল শান্তা পাল। লালবাজার সূত্রের খবর, এই দেশে এসে ব‍্যবসাও শুরু করেছিলেন। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে কলকাতার বাইরের বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার কার্ড।

বাংলাদেশে ক্ষমতার হস্তান্তরের পর থেকে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এর জেরে নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে ভারতের সীমান্তে ভিড় করার দৃশ্য দেখে গিয়েছে। এমন অবস্থায় ভারতে এসে সে দেশের মডেল শান্তা পাল শান্তিতে রয়েছেন। তিনি পুলিশির জেরায় জানিয়েছেন, “এই দেশটা শান্ত। এখানে থাকতে ভালো লাগছে।” অর্থাৎ বাংলাদেশের পরিস্থিতি যে খুব একটা ভালো নয় তা-ও উঠে এসেছে তাঁর কথায়। পুলিশ সূত্রের খবর, তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। পাশাপাশি তিনি যে বাংলাদেশের নাগরিক তা নিজেই পুলিশের জেরায় স্বীকার করেছেন।

অবৈধভাবে ভারতে থাকার অভিযোগে বাংলাদেশি মডেল শান্তা পালকে গ্রেফতার করেছিল কলকাতা পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে এই দেশের ভোটার কার্ড এবং আধার কার্ড। লালবাজার সূত্রের খবর, ভিসা এবং পাসপোর্টের মেয়াদও গত জুলাই মাসে শেষ হয়ে গিয়েছিল।

পুলিশ জানতে পেরেছে, ভোটার কার্ডটি বর্ধমানের কোনও এক বিধানসভা কেন্দ্রের। পূর্ব না পশ্চিম বর্ধমানের তা স্পষ্ট করেনি লালবাজার। লালবাজার জানিয়েছে, ভোটার কার্ডটি আসল না জাল তা যাচাই করতে সংশ্লিষ্ট দফতরের কাছে জানাতে চাওয়া হয়েছে। তবে যে আধার কার্ডটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তার ঠিকানা দু’বার পরিবর্তন করা হয়েছে। লালবাজার জানিয়েছে, প্রথমে বর্ধমানের ঠিকানা ছিল পরে কলকাতার গল্ফগ্রিনের ঠিকানায় করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, শান্তা এই দেশে এসে ২০২৩ সাল থেকে গাড়ির ব‍্যবসা করছিলেন। তদন্ত করতে গিয়ে চারটি গাড়ির হদিশ মিলেছে। পুলিশ আরও জানতে পেরেছে সেই গাড়িগুলি অ‍্যাপ ক‍্যবে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। গাড়ির হদিশ মিললেও কার নামে রয়েছে গাড়িগুলি তা খতিয়ে দেখছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা।

বাংলাদেশের মডেল শান্তা এই দেশে একটি গেস্টহাউস তৈরী করছিলেন। তার জন‍্য কোনও ঋণ নেওয়া হয়েছিল কি না তা নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান লালবাজারের এক কর্তা। এ ছাড়াও শান্তার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক-সহ দুটি ব্যাঙ্কের অ‍্যাকাউন্টের মিলেছে। সেই অ‍্যাকাউন্টেও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে বলে সুত্রের খবর।


Share