Postmortem Was Completed of Deceased Student

ময়নাতদন্ত শেষ, জলে ডুবেই মৃত্যু হয়েছে অনামিকার, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে আর কী কী তথ্য পেল পুলিশ

বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে পুকুর থেকে ইংরেজি তৃতীয়বর্ষের ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়। শুক্রে সন্ধ্যায় মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিক রিপোর্ট আসার পরই মৃত্যুর কারণ কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে।

কীভাবে মৃত্যু হয়েছে অনামিকা মণ্ডলের?
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট:১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৮:০৯

বৃহস্পতিবার রাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে চার নম্বর গেটের সামনে পুকুর থেকে এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার করা হয়। কীভাবে ইংরেজি বিভাগের তৃতীয়বর্ষের ছাত্রী অনামিকা মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে জল্পনা ছিলই। শুক্রবার অনামিকার দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। পুলিশ সুত্রের খবর, জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে অনামিকার। ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে এসেছে সেই রিপোর্ট।

এ ছাড়াও আর কী আছে সেই রিপোর্টে? 

সুত্রের খবর, মৃত ছাত্রী অনামিকার দেহে বাইরে কোনও আঘাতের চিহ্ন মেলেনি। জলে ডুবে যাওয়ার কারনেই উওর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অনামিকা মন্ডলের মৃত্যু হয়েছে। তবে গতকাল মদ‍্যপান করেছিল কি না বা শরীরে অন‍্য কোনও মাদক পদার্থ ছিল কি না, তার জন্য ভিসেরা পরীক্ষার জন্য এফএসএলে পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট এলেই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আরও স্পষ্ট হবেন তদন্তকারীরা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের চার নম্বর গেটের সামনে পার্কিংয়ে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। রাত পর্যন্ত চলে সেই অনুষ্ঠান। তাতে উপস্থিত ছিলেন অনামিকা মন্ডল। ঘড়ির কাঁটা যখন ১০টা ৩০ মিনিট, সেই সময় উপস্থিত থাকা অন্যান্য ছাত্রছাত্রীরা উল্টোদিকে একটি পুকুরে ঠিক কলা বিভাগের ইউনিয়ন রুমের পাশে অনামিকাকে ভাসতে দেখেন। শুরু হয় চেঁচামেচি। ডাকা হয় কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের। অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে টেনে ডাঙায় তোলা হয়। এর পরেই নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ওই দিন অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তারক্ষীরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। সকলের নজর এড়িয়ে অনামিকা কীভাবে পুকুরের ধারে চলে গেলেন, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে অনামিকার সঙ্গে থাকা বাকি ছাত্রদের লাগাতার এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে মোট তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো রয়েছে। কিন্তু অনামিকার দেহ উদ্ধার হয়েছে পুকুরের একটি কোন থেকে। সেখানে কোনও সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। সুত্রের খবর, অনামিকা সাঁতার জানতেন না। তাহলে কীভাবে বিপজ্জনক ভাবে ওই ছাত্রী জলের ধারে গেলেন পড়ে গেলেন, তাঁকে কেউ আটকানো হল না কেন, তারই উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা।


Share