Death Body of Trinamool leader recovered in Birbhum

মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার তৃণমূল নেতার দেহ, খুনের অভিযোগ করছে পরিবার

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন ৷ পাশের পাড়ায় রাতভোর তাঁর খোঁজ করেন পরিজনরা ৷ এদিন, দুপুরে গ্রামের ফাঁকা মাঠ থেকে তৃণমূল নেতার নিথর দেহ উদ্ধার হয় ৷ পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷

শান্তিনিকেতনের কঙ্কালীতলা এলাকা থেকে উদ্ধার তৃণমূল নেতা মদন লোহারের(৫০) দেহ।
নিজস্ব সংবাদদাতা, শান্তিনিকেতন
  • শেষ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৭:৩২

শান্তিনিকেতনের কঙ্কালীতলা এলাকা থেকে উদ্ধার তৃণমূল নেতা মদন লোহারের(৫০) দেহ। পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ করা হয়েছে। কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধোলটেকুড়ি গ্রামের প্রাক্তন বুথ সভাপতি ছিলেন বছর পঞ্চাশের মদন। তিনি গতকাল সন্ধ্যা থেকে নিঁখোজ ছিলেন৷ রবিবার পার্শ্ববর্তী একটি মাঠ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ ৷ নেপথ্যে কে বা কারা ? তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যা থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন ৷ পাশের পাড়ায় রাতভোর তাঁর খোঁজ করেন পরিজনরা ৷ এদিন, দুপুরে গ্রামের ফাঁকা মাঠ থেকে তৃণমূল নেতার নিথর দেহ উদ্ধার হয় ৷ পরিবারের দাবি তাঁকে খুন করা হয়েছে ৷ খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার ওসি ডলি মণ্ডলের নেতৃত্বে পুলিশ যায় ঘটনাস্থলে। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ৷ পরিবার সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লটারি টিকিট কাটার নেশা ছিল তৃণমূল নেতা মদল লোহারের। সেই সূত্রে ধারদেনাও হয়ে গিয়েছিল ৷ তাই দেনার জন্য খুন, নাকি এর নেপথ্যে কোনও রাজনৈতিক বিষয় আছে তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ ৷

কান্নায় ভেঙে পড়ে মৃতের স্ত্রী কল্যাণী লোহার বলেন, "খুঁজে পাচ্ছিলাম না ৷ মেরে দিয়েছে মানুষটাকে ৷ কী কারণে এমনটা হল তা কিছুই বুঝতে পারছি না।" মৃতের মেয়ে লীলা লোহার বলেন, "আমার বাবাকে মেরে দিয়েছে ৷ কিছু পরিমাণ ধার-দেনা হয়েছিল বাবার ৷ তারজন্যই খুন করা হতে পারে ৷ গতকাল সন্ধ্যায় ঘুরে আসছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ৷ আর ফিরে এলেন না ৷ আগে তৃণমূল করতেন ৷ তবে বর্তমানে আর পার্টির সঙ্গে সেভাবে জড়িত ছিলেন না ৷ কে খুন করেছে তাও বুঝতে পারছি না ৷ তবে আমি নিশ্চিত বাবাকে খুন করা হয়েছে ৷ স্থানীয় তৃণমূল নেতা সপ্তম দাস বলেন, "যেভাবে মাঠে দেহ পড়েছিল আমাদের ও পরিবারের অনুমান তাঁকে কেউ খুন করে দিয়েছে। পুলিশ তদন্ত করুক।"

প্রসঙ্গত, বোলপুর শহর সংলগ্ন কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েত অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের কোর কমিটির সদস্য সুদীপ্ত ঘোষের অন্তর্গত ছিল ৷ গরু পাচার ও আর্থিক তছরুপের মামলায় অনুব্রত মণ্ডল তিহার জেলে বন্দি থাকাকালীন 2023 সালে যুযুধান হিসাবে পরিচিত ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের আসনে জয়ী হয়ে সভাধিপতি হন ৷ তারপরেই তাঁর অনুগামীরা দখল নেয় কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৷ এই পঞ্চায়েত এলাকার ধোলটেকুড়ি গ্রামের প্রাক্তন বুথ সভাপতি ছিলেন মদন লোহার। রবিবার তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।


Share