Pushback Return

বাংলা বলায় ‘বাংলাদেশি’ তকমা, পুশব্যাকের শিকার সোনালি–সাবিরকে দেশে ফিরিয়ে আনছে কেন্দ্র

বাংলায় কথা বলায় ‘বাংলাদেশি’ তকমা দিয়ে পুশব্যাক—চার মাসের ভিনদেশি বন্দিদশা কাটিয়ে শেষপর্যন্ত দেশে ফিরছেন বীরভূমের সোনালি বিবি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তাঁর চিকিৎসা-সহ নিরাপদে ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে কেন্দ্র ও রাজ্য।

সুপ্রিম কোর্ট
নিজস্ব সংবাদদাতা, বীরভূম
  • শেষ আপডেট: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:১৫

বাংলাভাষী হওয়ায় বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত হয়ে ‘পুশব্যাক’-এর শিকার হয়েছিলেন বীরভূমের বাসিন্দা সোনালি বিবি ও তাঁর ছেলে সাবির। এবার তাঁদের দেশে ফেরাবে কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টে বিষয়টি জানিয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই সোনালিদের ফেরানো হবে।

বুধবার প্রধান বিচারপতি সূর্য কান্তের বেঞ্চ নির্দেশ দেয়, অন্তঃসত্ত্বা সোনালিকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে হবে। তাঁকে দ্রুত বীরভূমে বাবার কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। বীরভূমের চিফ মেডিক্যাল অফিসার-কে তাঁর সমস্ত চিকিৎসার দায়িত্ব দেওয়ার পাশাপাশি খরচ বহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী জানান, ভদু শেখ যদি ভারতীয় নাগরিক হন, তবে তাঁর জৈবিক সন্তান হিসেবে সোনালিও ভারতীয় নাগরিক হওয়ার কথা। পাশাপাশি, বাংলাদেশে থাকা বাকি চার জনকেও ফেরানোর বিষয়ে কেন্দ্র পরবর্তী শুনানিতে তাদের সিদ্ধান্ত জানাবে।

উল্লেখ্য, দিল্লিতে পরিচারিকার কাজ করতেন মুরারইয়ের সোনালি বিবি। সেখানেই ছিলেন তাঁর স্বামী দানিশ ও আট বছরের ছেলে সাবির। অভিযোগ, বাংলায় কথা বলায় দিল্লি পুলিশ তাঁকে বাংলাদেশি বলে শনাক্ত করে এবং ২১ জুন ধরার পর এফআরআরও-র নির্দেশে ২৬ জুন বিএসএফ তাঁকে বাংলাদেশে পুশব্যাক করে। বাংলাদেশে তাঁকে জেলে রাখা হয় এবং পরে জামিনও মেলে। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁকে ফেরানো হয়নি। রাজ্য সরকার এই নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

এদিকে সোনালির প্রেগন্যান্সি এখন অ্যাডভান্স স্টেজে। প্রায় চার মাস ধরে ভিন দেশে জেলবন্দি থাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে পরিবার। সোনালির বাবা-মা ভদু শেখ ও জ্যোৎস্না বিবির নাম রয়েছে ২০০২ সালের এসআইআর তালিকায়। ভাই সুরজও এনিউমারেশন ফর্ম জমা দিয়েছেন। পরিবারের দাবি, তাঁরা ভারতীয় নাগরিক। তা সত্ত্বেও কীভাবে সোনালিকে বাংলাদেশি বলা হল, এই প্রশ্নই সুপ্রিম কোর্টেও উচ্চারিত হয়েছে। এখন সোনালির দেশে ফেরার অপেক্ষায় বীরভূমের পরিবার।


Share