Mahuya Maitra

‘প্রক্রিয়াগত ত্রুটি’ মহুয়ার বিরুদ্ধে চার্জশিটে ব্রেক, লোকপালের নির্দেশ পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিল্লি হাই কোর্টের

‘ক্যাশ ফর কুয়েরি’ মামলায় আপাতত স্বস্তি মহুয়া মৈত্রর। সিবিআইকে চার্জশিট দাখিলের লোকপাল নির্দেশ খারিজ করল দিল্লি হাই কোর্ট, প্রক্রিয়াগত ত্রুটির কথা উল্লেখ করে নতুন করে সিদ্ধান্তের নির্দেশ।

মহুয়া মৈত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা, দিল্লি
  • শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ০৪:৩০

আপাতত বড় স্বস্তি পেলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মহুয়া মৈত্র। সংসদে ‘ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্ন’ মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ার জন্য সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন মহুয়া। শুক্রবার লোকপালের ওই নির্দেশ খারিজ করে দিয়ে বিষয়টি নতুন করে বিবেচনার নির্দেশ দিল দিল্লি হাই কোর্ট।

বিচারপতি অনিল ক্ষেত্রপাল ও বিচারপতি হরিশ বৈদ্যনাথন শঙ্করের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, চার্জশিট দাখিলের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষেত্রে লোকপালের প্রক্রিয়াগত কিছু ত্রুটি ছিল। সেই কারণেই গোটা বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন। আদালত এক সপ্তাহের মধ্যে লোকপালকে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে মহুয়ার বিরুদ্ধে ‘ক্যাশ ফর কুয়েরি’ মামলায় সিবিআই তদন্তের অনুমতি দিয়েছিল লোকপাল। তদন্ত শেষ করে সিবিআই একটি বিস্তারিত রিপোর্ট লোকপালের কাছে জমা দেয় এবং সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমতি চায়। গত ১২ নভেম্বর লোকপালের ফুল বেঞ্চ সিবিআইয়ের সেই আবেদন মঞ্জুর করে চার সপ্তাহের মধ্যে চার্জশিট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।

এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই দিল্লি হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন মহুয়া মৈত্র। লোকপালের নির্দেশ বাতিলের পাশাপাশি তিনি অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশও চেয়েছিলেন, যাতে মামলার শুনানি চলাকালীন সিবিআই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে। তবে গত ২১ নভেম্বর আদালত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিতে অস্বীকার করে এবং রায়দান স্থগিত রাখে। শুক্রবার সেই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি করে লোকপালের চার্জশিট সংক্রান্ত নির্দেশ বাতিল করল হাই কোর্ট।

মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে তিনি সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অভিযোগ অনুযায়ী, সেই প্রশ্নগুলির নিশানায় ছিলেন শিল্পপতি গৌতম আদানি এবং এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। এই অভিযোগ তুলে বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে লোকসভার স্পিকারের কাছে চিঠি দিয়ে মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিলের দাবি জানান। বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে অভিযোগ করেছিলেন মহুয়ার প্রাক্তন বন্ধু জয় অনন্ত দেহাদ্রাইও।

সিবিআইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী, মহুয়া মোট ৬১টি সংসদীয় প্রশ্ন করেছিলেন। এর মধ্যে তিনটি প্রশ্ন তিনি সরাসরি সংসদে অফলাইন পদ্ধতিতে তোলেন, বাকিগুলি অনলাইনে জমা দেওয়া হয়। তদন্তে দর্শন হীরানন্দানি হলফনামা দিয়ে দাবি করেন, মহুয়ার সংসদীয় লগইন আইডি ব্যবহার করেই তিনি ওই প্রশ্নগুলি পোস্ট করেছিলেন।


Share