Special Intensive Rivision

খসড়া তালিকা প্রকাশের আগে প্রায় ১ কোটি ৯০ লক্ষ ভোটারকে নোটিস পাঠানোর প্রস্তুতি কমিশনের

খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের আগে বাংলায় প্রায় এক কোটি নব্বই লক্ষ ভোটারকে নোটিস পাঠাতে পারে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের এই উদ্যোগকে ঘিরে রাজ্যে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে উত্তেজনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

প্রতীকী চিত্র।
নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
  • শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ০১:৪১

ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ায় এনুমারেশন ফর্ম জমা নেওয়া শেষহয়েছে। মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। তারআগেই কমিশন সূত্রে জানা যাচ্ছে, তথ্যগত অসঙ্গতির কারণে প্রায় এক কোটি ৯০ লক্ষ ভোটারকেনোটিস পাঠানো হতে পারে। যার মধ্যে প্রায় ৩০ লক্ষ এমন রয়েছে যাঁদের ম‍্যাপিং হয়নি। এইভোটারদের শুনানিতে ডেকে প্রয়োজনীয় নথি যাচাই করা হবে। কমিশনের এই উদ্যোগকে ঘিরে রাজ্যেরাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরে উত্তেজনার আশঙ্কা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা।

কমিশন সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নিজের বা পরিবারের কারও নাম নেইএমন ২৪ লক্ষ ২১ হাজার ১৩৩ জন ভোটারকে শুনানিতে ডাকা হতে পারে। পাশাপাশি, যাঁদের বর্তমানবয়স ৪৫ বছরের বেশি, এমন ২০ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৫৬ জন ভোটারকেও নোটিস পাঠানোর প্রস্তুতিনেওয়া হয়েছে।

কমিশনের যুক্তি অনুযায়ী, যাঁদের বয়স এখন ৪৫ বছর, তাঁদের ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নামথাকার কথা। কারণ, ২৩ বছর আগে শেষবার রাজ্যে ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধন হয়েছিল।কারও বর্তমান বয়স ৪৫ হলে ২০০২ সালে তাঁর বয়স ছিল প্রায় ২২ বছর, অর্থাৎ ভোটার হিসেবে নামনথিভুক্ত হওয়ার যোগ্যতা তখনই ছিল। কিন্তু যাঁদের নাম ২০০২ বা ২০০৬ সালের বিধানসভানির্বাচনের সময় ভোটার তালিকায় ছিল না, তাঁদের তথ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে কমিশনের।

এ ছাড়াও, বাবার নাম সংক্রান্ত অসঙ্গতির কারণে ৮৫ লক্ষ ১ হাজার ৪৮৬ জন ভোটারকে শুনানিতেডাকা হতে পারে। বাবার বয়স নিয়ে বিভ্রান্তি রয়েছে এমন ভোটারের সংখ্যা প্রায় ২০ লক্ষ, তাঁরাওনোটিস পেতে পারেন।

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ১১ লক্ষ ৯৫ হাজার ২৩০ জন ভোটারের ক্ষেত্রে বাবার সঙ্গে বয়সেরব্যবধান মাত্র ১৫ বছর। আবার ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৭৩৬ জন ভোটারের ক্ষেত্রে বাবার সঙ্গে বয়সেরফারাক ৫০ বছর। আবার ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ১৫২ জন ভোটারের ক্ষেত্রে ঠাকুরদার সঙ্গে বয়সের গরমিলধরা পড়েছে। লিঙ্গ সংক্রান্ত ভুল তথ্য রয়েছে এমন ভোটারের সংখ্যাও ১৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯১৮।

তবে কমিশন স্পষ্ট করেছে, শুনানিতে ডাকা মানেই ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়বে এমন নয়।অনেক ক্ষেত্রেই তথ্যগত বা প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই অসঙ্গতি দেখা দিয়েছে। তবে যাঁরাপ্রয়োজনীয় নথি জমা দিতে ব্যর্থ হবেন, তাঁদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে।

এ বিষয়ে কমিশনের পর্যবেক্ষক সুব্রত গুপ্ত আগেই জানিয়েছেন, কেউ ভুয়ো বা অসত্য নথি জমা দিলেশুধু আবেদনকারীই নন, সেই নথি যিনি অনুমোদন করবেন, তাঁর বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থানেওয়া হবে।


Share